• রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন

বক্তৃতা-বিবৃতিতে মুক্তি মেলে না, আন্দোলন লাগবে: গয়েশ্বর

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৭৩
শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪
শনিবার (২৯ জুন) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন : প্রতিদিন খবর
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

‘দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলায় খালেদা জিয়া বন্দি আছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘বক্তৃতা-বিবৃতিতে মুক্তি মেলে না, দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হলে আন্দোলন লাগবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারলে দেশের অস্তিত্ব রক্ষা করা যাবে না।

শনিবার (২৯ জুন) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ আয়োজন করে বিএনপি।

সমাবেশে গয়েশ্বর বলেন, ‘যে মামলায় খালেদা জিয়ার সাজাই হয় না, সেই মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। আমরা বহু দিন ধরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু তিনি এখনো কারাগারে, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমাবেশে নেতাকর্মীদের বিশাল উপস্থিতি দেখে গয়েশ্বর সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা আপনারা প্রমাণ করেছেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক, জাতীয়তাবাদী ঐক্যের প্রতীক। তাকে তাড়াতাড়ি মুক্ত করতে না পারলে মানচিত্র থেকে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র মুছে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, ‘সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন, সবই দেশবিরোধী। আমরা এতে উদ্বিগ্ন। আমরা ভারত বিরোধী নই, সবার সঙ্গে সমমর্যাদার ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই, গণতন্ত্র চাই।

 

বক্তৃতা-বিবৃতিতে মুক্তি মেলে না, আন্দোলন লাগবে: গয়েশ্বর

সমাবেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘কী অভিযোগে খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হলো? খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ-তিনি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, তিনি দেশের জনগণের পক্ষে কথা বলেন। চিকিৎসা একটি মানবিক অধিকার। একজন নেত্রী মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। তার সুস্থতা শুধুমাত্র তার জন্য নয়; দেশ ও দেশের মানুষের জন্য প্রয়োজন।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যেখানে অন্যায় আইনে পরিণত হয়, যেখানে আইনের শাসন নেই, মানবাধিকার নেই, জীবনের নিরাপত্তা নেই সেখানে প্রতিরোধ কর্তব্য হয়ে যায়, অনিবার্য হয়ে যায়।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক ছায়েদুল আলম বাবুল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানা প্রমুখ।

মঞ্চে আছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

বেলা ২টা ৪২ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এ সমাবেশের সমাপ্তি টানা হবে। এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পরিচালনায় এ সমাবেশ চলছে।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন