• বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন

ফুটবলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়লেন ঢাবি ছাত্র

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৬৮
বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪
রাগীব শাহরিয়ার অংকন। ছবি : সংগৃহীত
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

ফুটবলকে শূন্যে ভাসিয়ে পায়ের পাতা দিয়ে মিনিটে সর্বোচ্চ ২২০ বার স্পর্শ করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী রাগীব শাহরিয়ার অংকন। আগের রেকর্ড ছিলো ২১২ বার।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) অংকন অফিসিয়ালি তার এ অর্জনের সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছেন। এর আগে তার এ কৃতিত্বের জন্য গত ২০ ফেব্রুয়ারি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড ওয়েবসাইটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।

অংকন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র। তার বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি পৌর শহরের হাই স্কুল সড়কে। তিনি নলছিটি প্রেস ক্লাব সভাপতি ও নলছিটি উপজেলা যুগান্তর প্রতিনিধি মো. এনায়েত করিমের ছেলে।

মেধাবী অংকনের এ ব্যতিক্রমি অর্জনে নলছিটিবাসী ও তার সহপাঠীরা তাকে ফোনে ও ফেসবুকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন

এ ব্যাপারে রাগীব শাহরিয়ার অংকন জানান, এ রেকর্ড গড়তে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি। এজন্য আমি দীর্ঘদিন অনুশীলন করেছি। দৃঢ় প্রচেষ্টা ও অনুশীলনে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। তিনি সকলের কাছে দোয়া কামনা করছেন।

নলছিটি সরকারি ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম কবির বলেন, অংকন আমাদের প্রতিষ্ঠানের একজন মেধাবী ছাত্র ছিল। তার এ অর্জনে আমরা গর্বিত। আমি তা উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

নলছিটি পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. ওয়াহেদ খান বলেন, তার সাফল্যে আমরা পৌরবাসী গর্বিত। আমি তার জীবনের সার্বিক উন্নতি কামনা করছি।

নলছিটি সরকারি মার্চেন্টস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইউনুস আলী খান বলেন, অংকন আমাদের বিদ্যালয়ে যখন পড়তো, খুবই মেধাবী ছিল। সে ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছে। শুনেছি সে ফুটবলে ট্যাপ করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছে, এতে আমি ওর শিক্ষক হিসেবে গর্বিত। অংকন আরো এগিয়ে যাবে, এমনটাই প্রত্যাশা।

অংকনের সহপাঠী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাইদ ইসলাম খান বলেন, অংকনকে দেখেছি যে কাজটিই করবে, তা খুবই মনযোগ দিয়ে করবে। এ জন্যই সে সবক্ষেত্রে ভালো করে যাচ্ছে। অংকন আমাদের গর্বিত করেছে, সে বিশ্ব রেকর্ড করায় আমরা আনন্দিত। তার জন্য সবসময় শুভ কামনা।

অংকনের বাবা সাংবাদিক এনায়েত করিম বলেন, আমার ছেলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করায় পরিবারের সবাই খুশি। অংকন পড়ালেখার পাশাপাশি ফুটবলেও বেশি সময় দিতো। সে ফুটবলকে ভালো করে রপ্ত করেছে বিধায় মিনিটে ২২০ বার পায়ে স্পর্শ করতে পেরেছে। এই কাজটা খুবই কঠিন, অংকন কঠিনকে ধারণ করেছে। আমরা ওর জন্য গর্বিত।

 

সারাদিনের সর্বশেষ খবর পেতে চোখ রাখুন ‘প্রতিদিন খবর’ ওয়েবসাইটে


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন