• রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৯ অপরাহ্ন

বন্যায় ১৮ জেলায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৬২
রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪
দেশের ১৮ জেলায় ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ছবি : প্রতিদিন খবর
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

চলমান বন্যায় দেশের ১৮ জেলায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতির শিকার বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। দেশের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রোববার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বন্যাদুর্গতদের জন্য তিন হাজার আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যাদুর্গতদের জন্য ১৮ জেলায় ২১ হাজার ৭০০ টন চাল, নগদ পাঁচ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ৬৫ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার, গো-খাদ্য বাবদ ৪০ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্যের জন্য ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট-৩, সুনামগঞ্জ-১ ও মৌলভীবাজার-২ সংসদীয় আসনে আড়াই হাজার প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি উজান থেকে নেমে আসা পানি এবং ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী গত একনেক সভায় সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বন্যা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

মহিববুর রহমান বলেন, শনিবার বন্ধের দিনেও আমরা অফিস খোলা রেখেছি এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেছি। এ ছাড়া বন্যাদুর্গত জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল মিটিং করে এখানকার খোঁজখবর নিয়েছি।

বন্যাদুর্গত জেলাগুলো হলো, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রংপুর, ফেনী, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, শেরপুর, বান্দরবান, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, লালমনিরহাট, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও টাঙ্গাইল।

আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে কীভাবে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, সে সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। আমরা ত্রাণ কার্যক্রম স্বচ্ছতার সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে একজন মানুষও দুর্ভোগের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করবেন না। মানুষের চাহিদা ও প্রয়োজন বিবেচনা করে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো হবে।

মহিববুর রহমান বলেন, আজকেও আবহাওয়া অফিস ধারণা দিয়েছে, এরপর আরেকটা বন্যা হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সেটাকে মাথায় রেখেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।

মাঠপর্যায়ে ত্রাণ অপ্রতুল এবং সুষম বণ্টনের অভাব নিয়ে এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি। তারা আশ্বস্ত করেছেন, প্রত্যেক জেলায় পর্যাপ্ত মজুত আছে এবং যাকে সহযোগিতা করা দরকার, করছেন।

তিনি বলেন, আমি বলতে চাই পর্যপ্ত মজুত আছে। কেউ না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তারপরও যদি কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসে আমরা জানার সঙ্গে সমাধান করব। ১০৯০ এবং ৩৩৩- নম্বরে কল দিলে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ আছে। আজও জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

 


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন