• মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন

সেই ড্রাইভার আবেদ আলী হতে চেয়েছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৬৭
মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪
আবেদ আলীর গ্রামের বাড়িতে টানানো ব্যানার।
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী জীবন ডাসার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। প্রচারও চালিয়েছিলেন তিনি।

স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সৈয়দ আবেদ আলী জীবন মাদারীপুরের ডাসার উপজলার পশ্চিম বোতলা গ্রামের মৃত আব্দুর রকমান মীরের ছেলে। আব্দুর রকমান মীরের তিন ছেলে এক মেয়ের মধ্য সৈয়দ আবেদ আলী জীবন মেঝ। রকমান মীরের বড় ছেলে জবেদ আলী কৃষি কাজ করেন। ছোট ছেলে সাবেদ আলী এখনো এলাকায় অটারিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।

এলাকায় আবেদ আলী মানুষের কাছে পরিচয় দিতেন শিল্পপতি হিসেবে। আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম ব্যবহার করতেন দামি গাড়ি। আবেদ আলী নিজেও দামি গাড়িতে চলাফেরা করতেন। এলাকায় কেউ জানতই না তিনি ড্রাইভারের চাকরি করতেন। তিনি ঢাকাতে রিয়েল স্টেটের ব্যবসা করতেন বলেই এলাকায় প্রচার ছিল।

বাবা আবেদ আলীর উত্থান নিয়ে তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম সম্প্রতি একটি সমাবেশে বক্তব্য দেন। তিনি তার বাবার উত্থানের গল্প বলতে গিয়ে বলেন, আমার বাবা একদম ছোট থেকে বড় হয়েছে। আমার বাবার বয়স যখন ৮ বছর তখন পেটের দায়ে ঢাকায় চলে গেছে। ঢাকায় গিয়ে কুলিগিরি করে ৫০ টাকা দিয়ে তার ব্যবসা শুরু করে। এখন তিনি একটি লিমিটেড কোম্পানির মালিক।

আবেদ আলী গ্রামের বাড়িতে গিয়ে নেমে পড়েন রাজনীতির মাঠে। কোটি টাকার গাড়িত চড়ে গণসংযাগ করেন। সঙ্গে থাকত তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। এলকায় দান খয়রাত করতেন বাবা ছেলে দুহাত ভরে।

আবেদ তার গ্রামে কোটি টাকা খরচ করে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করছেন। বাড়ির পাশে করেছেন মসজিদ। এ ছাড়াও রাস্তার পাশে সরকারি জায়গা দখল করে গরুর খামার ও একটি মার্কেট নির্মাণাধীন রয়েছে। উপজলার পান্তাপাড়া ও পূর্ব বোতলা গ্রামে কিনেছেন বিপুল সম্পদ।

এ বিষয়ে জানতে সৈয়দ আবেদ আলী জীবনের ব্যবহৃত নম্বর ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোনটি রিসিভ হয়নি। তাদের গ্রামের বাড়িটিও তালাবদ্ধ।

দুর্নীতি দমন কমিশনের মাদারীপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযাগ দিলে আমরা প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করব।

 

সারাদিনের সর্বশেষ খবর পেতে চোখ রাখুন ‘প্রতিদিন খবর’ ওয়েবসাইটে


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন