মাহমুদুন্নবী নওগাঁ পত্নীতলা প্রতিনিধি:
নওগাঁর পত্নীতলায় উচ্ছেদ অভিযান কে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া । যা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে পুরো উপজেলায় ।
গত বুধবার ১০ জুলাই পত্নীতলা উপজেলার নির্মইল ইউনিয়নের অর্জুনপুর ( ভাবুক ) গ্রামে সরকারি জমির উপর বসবাস করা স্থানীয় যুবক মো: হাচান আলীর টিনের ঘর উচ্ছেদ ও সাদেকুল ইসলাম সাদেক এর বাড়ি সিলগালা কে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় চলছে সমালোচনার ঝড়।
অভিযোগ ও স্মরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অর্জুনপুর ( ভাবুক ) গ্রামে ৭২ শতাংশ সরকারি জমিতে বেশকিছু পরিবার সরকারি ভাবে লিজ নিয়ে দীর্ঘ্যদিন থেকে বসবাস করে আসছিলো। অভিযোগকারী হাসানের বাবাও ২.৫ শতাংশ জমিতে বসতবাড়ি করে স্ত্রী- সন্তান নিয়ে বসবাস করছিল। হাসান আলী’র বাবা মৃত্যুর পর উত্তোরাধীকার হিসাবে সেই বসতবাড়িতে বসবাস করছিলো হাসান আলী। হঠাৎ সেই বসতবাড়ি ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেন সাদেকুল ইসলাম সাদেক এর কাছে। আর হাসান আলী দখল করে নেয় রাস্তার পাশে একটি ফাঁকা জায়গা। তবে জমির লিজকৃত দলিল নিয়ে সেই জায়গার দাবি করেন মাহমুদা নামক এক মহিলা। তার বসতবাড়ি উদ্ধারের জন্য পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তা আমলে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের লক্ষে প্রাথমিকভাবে ভ্রাম্যমান আদালতে হাসানের দখলকৃত জায়গা থেকে টিনের বাড়ি উচ্ছেদ ও সাদেকুল ইসলামের কাছ থেকে বিক্রয়কৃত সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য তার মাটির তৈরী বাড়িটি সিলগালা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
তবে হাসান আলী তার স্ত্রী মোছা: হাবিবা ও স্থানীয় একাংশের অভিযোগ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য মোছা: রোজিনা বেগম মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। হাসান আলী ও তার স্ত্রী চাঁদা দিতে অস্কিকার করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে ভূল বুঝিয়ে এই ভ্রাম্যমান অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
বর্তমানে আমি স্ত্রী সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি। আমার একটা ছোট ছেলে আছে, ইন্টার পড়ুয়া একটি মেয়েও আছে যাদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করাটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ। আমি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাই।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো: আবুল কালাম আযাদ ও সংরক্ষিত আসনের সদস্য মোছা: রোজিনা চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বিকার করে বলেন, এখানে আমাদের করণীয় কিছুই নেই। এই অভিযানটি ইউএনও স্যার পরিচালনা করেছেন।
এবিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট বলেন, সরকারি জায়গা ক্রয় বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। যারা গৃহহীন তাদের পরিবার প্রতি একজনের নামে জায়গা লিজ দেওয়া হয়। অভিযোগ পাবার পরে আমরা হাসান কে বলেছিলাম আপনি আপনার পূর্বের বাড়িতে যান আর আপনি গত বছর যে জায়গা দখল করেছেন তা মাহমুদা কে ফেরত দিন। অথবা আপনার পূর্বের বাড়িতে মাহমুদা কে বসবাস করার সুযোগ দেন। কিন্তু তিনি আমার কোন কথায় রাজি না। আমরা বাদ্ধ হয়ে সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত করার জন্য এই অভিযানটি পরিচালনা করেছি।