• বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৬ অপরাহ্ন

কোটা বাতিলের আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি, যারা কিনা রাজাকারের সন্তান

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ১০২
শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৪
আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা মাঠে নামলে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা এক মুহূর্তও টিকতে পারবে না।

শনিবার (১৩ জুলাই) শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে কোটা বাতিল আন্দোলনের নামে বঙ্গবন্ধু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ৭ দফা দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।


শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, কোটা বাতিলের আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি, যারা কিনা রাজাকারের সন্তান। এরা প্রশাসনিক দায়িত্ব পেলে তো এখনকার মতো সুপ্রিম কোর্টের কোনো আদেশ মানবে না, ছিঁড়ে ফেলে দেবে। এরা দেশের জাতীয় পতাকা মাথায় বেঁধে পতাকার অবমাননা করেছে।
 মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন বলেন, প্রয়োজনে ৭১’র মতো আবারো অস্ত্র নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পিছপা হব না।
 
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ৭ দফা দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো-
 ১। ২০১৮ সালের অসাংবিধানিক ও অবৈধ পরিপত্র বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করে বঙ্গবন্ধুর উপহার ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, সংরক্ষণ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে।

২। সাম্প্রতিক সময়ে কোটা বাতিল আন্দোলনের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে কটূক্তিকারীদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে ছাত্রত্ব বাতিলসহ বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি হলোকাস্ট ডিনায়াল অ্যাক্টের ন্যায় নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে।

৩। রাজাকারদের নামের তালিকা প্রকাশ করে দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে তালিকা প্রদর্শনপূর্বক নাগরিকত্ব বাতিলসহ এদের বংশধরদের চিহ্নিত করে চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

৪। কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীরা সকলেই মেধাবী, কেউ অমেধাবী নয়। সাধারণ প্রার্থীদের সাথে একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রিলি, লিখিত ও ভাইভায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোটা প্রয়োগ হওয়ার কারণে বৈষম্যমূলক মেধা শব্দ পরিবর্তন করে সাধারণ শব্দ সংযোজনপূর্বক সাধারণ প্রার্থী নামকরণ করে সকল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
৫। সমগ্র দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের ওপর হামলা, মামলা, হত্যা, নির্যাতন ও কটূক্তি স্থায়ীভাবে প্রতিরোধ করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।

৬। ২০১৮ সালে কোটা বাতিল আন্দোলনের নামে পুলিশের ওপর নগ্ন সন্ত্রাসী হামলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

৭। বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অধিকার আদায়ের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করতে হবে।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন