• রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৯ অপরাহ্ন

বহিরাগতদের দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে : আমীর খসরু

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৭৭
সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪
গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক। ছবি : প্রতিদিন খবর
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের নিয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা ও রক্তাক্ত করেছে। এটা সারা দেশ ও বিশ্বের মানুষ দেখেছে। এটা কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ মুক্তির আন্দোলন করছে। নিজস্ব দাবিতে হলেও এটা সামগ্রিক আন্দোলনের অংশ।

সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

এর আগে যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বিএনপির লিয়াঁজো কমিটির বৈঠকে নেতৃত্ব দেন আমীর খসরু।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, গণ অধিকার পরিষদের (একাংশ) সদস্য সচিব ফারুক হাসান, ইঞ্জিনিয়ার এস ফাহিম, তারেক রহমান, আব্দুল্লাহ, মো. ইমাম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় অবৈধ দখলদার সরকার মানুষের সব অধিকার হরণ করেছে। ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। যারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করে না। নির্বাচিত সরকার থাকলে এটার যৌক্তিক সমাধান খুবই সহজ। যৌক্তিক সমাধান হচ্ছে- আগামীদিনে আপনি কি মেধাভিত্তিক দেশ গড়তে চান নাকি মেধাবিহীন দেশ গড়তে চান? আপনি কী দলীয় লোকদের নিয়ে দেশ গড়তে চান, নাকি দেশের সবাইকে নিয়ে দেশ গড়তে চান? আপনি কি আইডেন্টিটি ক্রাইসিস তৈরির মাধ্যমে দেশে বিভক্তি তৈরি করতে চান, নাকি জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে দেশটাকে গড়তে চান। দেশ তো কোনো গোষ্ঠীর হতে পারে না। দেশ সবার জন্য।

তিনি বলেন, আজকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন হচ্ছে একটা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারীদের সবার পরিবার আছে, আত্মীয়-স্বজন আছে। সবাই কিন্তু একটা ন্যায়সঙ্গত সমাধানের অপেক্ষা করছে। সেটা না করে আপনি যদি মিথ্যা মামলা দেন তাহলে তো কোনো সমাধান হলো না। পুলিশের মিথ্যা মামলা ও ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা করছি।

আমীর খসরু বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আমাদের যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে আলাপ করেছি। আমরা যুগপতের প্রত্যেকটি দলের সঙ্গে আলোচনাসভা ও মতবিনিময় করছি। এরপর ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ঠিক করা হবে। দেশের দুর্নীতি, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশবিরোধী চুক্তিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কী কর্মসূচি নেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই আগামী দিনের কর্মসূচি নির্ধারিত হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানবাধিকার, আইনের শাসন, জীবনের নিরাপত্তা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং বাকস্বাধীনতা, চরম দুর্নীতি ও নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্য এ সবকিছু নিয়েই বাংলাদেশের মানুষ আজ অতীষ্ঠ। তারা রাজনীতিবিদদের থেকে এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। জনগণের প্রত্যাশা হচ্ছে- এ মুহূর্তে তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন চায়। আমাদের প্রবল কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পতনের প্রয়োজনীয়তা জনগণ অনুভব করছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক কর্মসূচি পালিত হবে। দেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। তাদের সমর্থন ও তাদের সঙ্গে নিয়েই আমরা কর্মসূচি পালন করব।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন