কোটা আন্দোলনের জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের ৪ নেতা-কর্মীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৬টা ২০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্স ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
আহত চার নেতা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক তারেক আশরাফ, ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার, ছাত্র ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব হাসান ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল।
অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক প্রিন্স হোসেন রাঈল। এ ছাড়া আরও অনেক নেতা-কর্মী হামলা চালান, তবে ভুক্তভোগীরা সুনির্দিষ্ট করে কারও নাম বলতে পারেননি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসের প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা একজোট হয়ে ক্যাম্পাসে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। একপর্যায়ে তারা ডিনস কমপ্লেক্স ভবনের সামনে গেলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেলে করে গিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। মারধর করার সময় তাদের হলে চলে যেতে বলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার বলেন, এই তোরা কারা, এখানে কি, হলে যা বলেই মারধর করতে থাকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে দৌড়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মনু মোহন বাপ্পা বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এ রকম কোনো বিষয়ে আমার জানা নেই।’
হামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে ছাত্রলীগের কে বা কারা এ হামলা চালিয়েছে সেটি এখনো জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।