• শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন

ফরিদপুরে আন্দোলনকারী স্কুলশিক্ষার্থীদের ওপর স্বেচ্ছাসেবকলীগের হামলা

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৬৭
বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

ফরিদপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর স্বেচ্ছাসেবক লীগ হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা সদরের গঙ্গাবর্দী এলাকার ফরিদপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ হামলায় আহতরা হলেন, ইনিস্টিউটের উপাধ্যক্ষ এ কে এম হাসিবুল হাসান, পঞ্চম পর্বের ছাত্রী ভাবনা আক্তার, সপ্তম পর্বের নাফিজ ইসলাম, পঞ্চম পর্বের অর্ক বিশ্বাস এবং আহত অপর ছাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আহতদের মধ্যে দুই ছাত্রকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুই ছাত্রীকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

শিক্ষার্থীরা জানান আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় কোটা সংস্কারের দাবিতে দুই শতাধিকের বেশি শিক্ষার্থী একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এসে সড়ক অবরোধ শুরু করে। এর ৪০ মিনিট পর পুলিশ সেখানে গেলে শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গেই স্বেচ্ছাসেবক লীগের অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী লাঠি ও রড নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছত্র ভঙ্গ হয়ে যার যার মতো করে ক্যাম্পাসের ভেতরে চলে এলে হামলাকারীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে বেধড়ক পিটুনি দিয়ে উপাধ্যক্ষ, দুই ছাত্র এবং দুই ছাত্রীকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ওই সময় পুলিশ সদস্যরা পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন।

আহত পঞ্চম পর্বের শিক্ষার্থী অর্ক বিশ্বাস বলেন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলাম। এর মধ্যে আমাদের বাপের বয়সী লোক যারা সকলে হেলমেট পরিহিত রড ও ক্রিকেটের স্ট্যাম্প নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে পড়ে। প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাধ্যক্ষ এ কে এম হাসিবুল হাসান এগিয়ে গিয়ে হামলাকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা করেন। হামলাকারীরা উপাধ্যক্ষের পায়ে রড দিয়ে আঘাত করে তাকে সরিয়ে দিয়ে আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জনি কালবেলাকে জানান, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা এমন খবর শুনে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে ছুটে যায়। হামলার কোনো খবর আমি জানি না।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি মো. হাসানুজ্জামান বলেন পুলিশ হামলাকারীদের হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা না করলে আরও অনেক শিক্ষার্থী আহত হতেন। পুলিশই ক্যাম্পাস থেকে হামলাকারীদের হটিয়ে দেয়। হামলায় সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালনের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন