• শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:০০ অপরাহ্ন

হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৫১
সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪
গ্রাফিক্স : প্রতিদিন খবর
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাত ও সহিংসতার প্রেক্ষাপটে আইন প্রয়োগকারী অভিযানের সময় হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি। মূলত নজরদারি, নির্দিষ্ট স্থানে আটকা পড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মীদের উদ্ধার এবং জরুরি পরিস্থিতিতে অগ্নিনির্বাপক সুবিধা দেওয়ার জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।

রোববার (২৮ জুলাই) রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও সহিংসতার ঘটনায় নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও কিছু আন্তর্জাতিক অংশীদারের উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়টি লক্ষ্য করেছে সরকার। বিশেষ করে প্রোপাগান্ডা, অপতথ্য ও গুজব প্রচারের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে অকুণ্ঠ সমর্থন ও পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্যক ধারণার জন্য সরকার কৃতজ্ঞ। সরকার সব আন্তর্জাতিক অংশীদারদের আশ্বস্ত করতে চায়, সরকার এবং জনগণের সময়োপযোগী এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে।

নিহতদের পরিবারের জন্য সরকার সহায়তার হাত বাড়িয়েছে উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়, প্রাণহানির জন্য ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের চাকরির নিশ্চয়তা দিয়েছেন তিনি। ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের যে ভোগান্তি হচ্ছে, তা সুরাহায় অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার। এটা খুবই পরিষ্কার যে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের ছাত্র সংগঠনগুলো এ আন্দোলনের ওপর চেপে বসে সন্ত্রাসের রাজত্ব ছড়িয়েছে। পাশাপাশি তারা ব্যাপক প্রোপাগান্ডা ও অপতথ্য ছড়িয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শান্তিপূর্ণ ও ইস্যুভিত্তিক ছাত্র আন্দোলনকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের সংঘটিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার কোনো সুযোগ নেই। দায়ীদের সংশ্লিষ্টতা যেটাই হোক না কেন নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সবগুলো হত্যাকাণ্ড এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক দেখা গুলির একটিও ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ব্রডব্যান্ড এবং মোবাইল ইন্টারনেট-সংযোগ এখন পুরোপুরি চালু হয়েছে। অস্থিরতা ও সহিংসতার পুরো সময়কালে ভূমিভিত্তিক এবং মোবাইল টেলিযোগাযোগসহ যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমগুলো কার্যকর ছিল। কারফিউ চলার সময় অন্যান্য জরুরি পরিষেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা ছাড়ের অনুমতিসহ সর্বদা কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। সরকার যে কোনো মূল্যে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকারকে সমুন্নত রেখেছে এবং সেটি অব্যাহত রাখবে।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন