কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মিরপুর গোলচত্বরে চলা সংঘর্ষে শুক্রবার (১৯ জুলাই) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব তামিম। বুধবার (৩১ জুলাই) তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও গণিত বিভাগের শিক্ষকরা। গণিত বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণিত বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নিহত তামিমের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা অনুদান এবং এক মাসের বাজার করে দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.জাহাঙ্গীর হোসেন ও গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মীজানুর রহমান ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. জি এম আল আমিন তার পরিবারের হাতে অনুদান তুলে দেন। এসময় বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।
আহসান হাবিব তামিম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজির অনুসারী ছিলেন।
জানা যায়, তামিমের বাবা ঢাকায় মোটর মেকানিকের কাজ করেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তামিম ছিলেন দ্বিতীয়। বড় ভাইও বাবার সঙ্গেই মেকানিকের কাজ করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে। থাকতেন ঢাকার মিরপুর।
তামিমের বাবা আব্দুল মান্নান বলেন, গ্রামে আমাদের নিজের বলতে কোনো বাড়ি নেই। আমরা ঢাকাতেই থাকি। গ্রামে বেশি একটা যাই না। ছোটবেলা থেকেই আমার ছেলেটা বেশ চঞ্চল। অভাব অনটনে মানুষ। ওর আশা ছিল ওর ছোট ভাইটাকেও ভালো জায়গায় পড়াশোনা করাবে। কিন্তু তা আর হলো না। তামিম আর ঘরে ফিরে এলো না।
এ বিষয়ে বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নিহত তামিমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। তার এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শোক প্রকাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, গণিত বিভাগ তার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। তার পরিবারকে আগামী সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেও তার পরিবারের পাশে দাঁড়াব।