সেতু ভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ছয় জনের তিন দিনের দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া রিমান্ড শেষে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রিমান্ডকৃত অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এমএ সালাম।
এদিন রাজধানীর কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ভিপি নুরসহ আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অন্যদিকে সেতু ভবনের মামলায় রিজভী, পরওয়ার ও মাহমুদুস সালেহীনসহ সাতজনের গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত সালেহীন বাদে অপর ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখান আদালত। পরে শুনানি শেষে আদালত ওই ছয়জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২৮ জুলাই মেট্রোরেল পোড়ানোর মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ২৬ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্লবী জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান মুন্সী তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোপূর্বক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
গত ১৮ জুলাই সেতু ভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সেতু ভবনের কেয়ারটেকার রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় সেতু ভবনের ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন।
জানা যায়, গত ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিসের কার্যক্রম করতে থাকেন। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জন আসামি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে আমাদের অফিসের সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে তারা ভবনে হামলা, ভাংচুর করে। সেতু ভবনের পার্কিংয়ে থাকা ৩২টি জিপ গাড়ি, ৯টি পিকআপ, ৭টি মাইক্রোবাস, একটি মিনিবাস, ৫টি মোটরসাইকেল, একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিলে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়।