রডের পরিবর্তে কাঠের পাটাতন আর বাঁশ দিয়ে ছাদ ঢালাই। ভারি বৃষ্টিতে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল সেই ছাদ, এরপর পুরো বাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার বাগুইআটিতে। এতে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্য হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ।
খবরে বলা হয়েছে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে তৈরি হয়েছিল বাড়িটির বিভিন্ন ফ্লোর। প্রথম দোতলার ওপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে তিনতলার ছাদ। এরপর সমস্ত কংক্রিটের আবর্জনাসহ ভেঙে পড়ে দোতলাও।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ ভেঙে পড়ে ৩তলা বাড়িটি। বাড়িটি যখন ভেঙে পড়ে তখন নিচতলায় একটি ঘরে অবস্থান করছিল ১৭ বছরের কিশোর ধ্রুবজ্যোতি মন্ডল। উপর থেকে পড়া কংক্রিটের আবর্জনাসহ ভাঙা ছাদের নিচে চাপা পড়ে সে। এ সময় বাড়িটিতে আর কেউ ছিল না।
মৃত কিশোরের এক আত্মীয় বলেন, বাড়িটি ১৫ বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল। তৈরি করেছিলেন নিহত কিশোর ধ্রুবজ্যোতির বাবা। আমরা বাঁশ দিয়ে ছাদের ঢালাই করতে অনেক নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি শোনেননি।
বাড়িটি ভেঙে পড়লে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। পুলিশ ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করে। ধ্রুবজ্যোতিকে উদ্ধার করে কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, বাড়িটিতে কোনো লোহার কাঠামো ছিল না। লোহার কাঠামোর বদলে সেখানে বাঁশের কাঠামো দিয়ে ঢালাই করা হয়েছিল।