চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মীরা। সে সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন তারা।
শনিবার (৩ আগস্ট) ‘ডেভেলপমেন্ট প্রফেশনালস অ্যালায়েন্স ফর ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস’-এর ব্যানারে রাজধানীর গুলশানের জাস্টিস শাহাবুদ্দিন পার্কে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মী, বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় সহস্রাধিক উন্নয়ন পেশাজীবী সমাবেশে এ দাবি করা হয়। এ সময় তারা রাষ্ট্র সংস্কারেরও আহ্বান জানান।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কর্মী টনি মাইকেল দৃঢ়ভাবে বলেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাব। এই অন্যায় ও রাষ্ট্র পরিচালিত বর্বরতা আর চলতে পারে না। মানুষের কথা ও লেখার অধিকার অবশ্যই প্রাধান্য পাবে। গণতন্ত্রের লড়াইয়ে বাংলাদেশের আর কোনো জনগণকে হারানোর সাধ্য নেই। বাংলাদেশের উন্নয়ন পেশাজীবীদের নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়াবে। উন্নয়ন পেশাজীবীর পক্ষে, তিনি বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষায় দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।
একজন উন্নয়ন পেশাজীবী এবং সংগীতজ্ঞ ওয়ার্দা আশরাফ বলেছেন, ‘আমাদের দাবি স্পষ্ট। আমরা আহত ও নিহতদের জন্য যথাযথ সহায়তা চাইছি। আমরা আমাদের সন্তানদের আহত দেখতে চাই না।’
বক্তারা বলেন, সাধারণ ছাত্র-জনতার কণ্ঠস্বরকে দমন করার জন্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার আক্রমণাত্মক ও প্রাণনাশক ব্যবহার নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। শিশু, ছাত্রসমাজ, সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যু এবং হাজার হাজার মানুষের আহত হওয়া ও গণ গ্রেপ্তারের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত ও স্তব্ধ। ছাত্রসমাজ ও সাধারণ মানুষের দাবি আদায়ের আন্দোলনে সরকারের বল প্রয়োগের কৌশল ইউএন বিবৃতির পরিপন্থি। আমরা বিশ্বাস করি, বাকস্বাধীনতায় অযাচিত হস্তক্ষেপ ও বিকল্প মতামতের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনদের আক্রমণাত্মক মনোভাব আমাদের বর্তমান অবস্থানে উন্নীত করেছে। যেখানে জনগণ এবং সরকারের মতের গভীর বিভেদ পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি। আমরা বিশ্বাস করি, ভয় বা আতঙ্কের মধ্যে থেকে একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। আমরা ন্যায়বিচার চাই! আমরা নির্ভয়ে কথা বলতে পারার ও প্রতিবাদ করার অধিকার চাই! সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পক্ষে কাজ করতে আমরা সবসময় বদ্ধপরিকর।