চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দুপুর থেকে নগরের নিউমার্কেট এলাকায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। সন্ধ্যায় সেই কর্মসূচি শেষে মিছিলটি মুরাদপুর থেকে বহদ্দারহাট এলাকায় পৌঁছনোর পর বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে এক দল দুবৃর্ত্ত মেয়র গলিতে ঢুকে পড়ে। তারা নানা স্লোগান দিতে থাকে।
সবশেষে মিছিল থেকে বের হয়ে একটি অংশ মেয়র রেজাউলের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় মেয়র রেজাউলের বাড়ির নাম ফলক ও প্রবেশগেটটি ভাঙচুর করা হয়।
এদিকে নগরের মুরাদপুর এলাকায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বাসভবন ও চট্টগ্রাম ১০ আসনের সংসদ সদস্য এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর লালখান বাজারস্থ অফিসেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হামলার পর শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনের আঙ্গিনায় থাকা দুটি প্রাইভেট কার ভাঙচুরের পর সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনের প্রবেশ গেটটি ভেঙ্গে একটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। কক্ষটি রাজনৈতি মিটিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হতো বলে জানা গেছে। এ সময় ওই কক্ষে থাকা চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রীর বাবা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নাম অনুসারে নগরের চশমাহিল এলাকাটি ‘মেয়র গলি’ হিসেবে পরিচিত। রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে স্মরণকালে শিক্ষামন্ত্রীর ওই বাসভবনে হামলার নজির নেই বলে জানিয়েছেন সংশিষ্টরা।
অন্যদিকে সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লালখান বাজার এলাকায় এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর অফিসে এর আগেও হামলার ঘটনা ঘটেছিল।
শিক্ষামন্ত্রীর সহকারী রাহুল দাশ প্রতিদিন খবর কে বলেন, পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। মেয়র গলির সামনে দিয়ে একটি মিছিল যাচ্ছিল। সেই মিছিল থেকে বের হয়ে কিছু লোক এ হামলা চালিয়েছে। জামায়াত-শিবিরের মদদে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, এ বিষয়ে খবর পেয়েছি। হামলায় কে বা কারা জড়িত তাদের চিহিৃত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিস্তারিত পরে জানানো সম্ভব হবে।