বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে গুলিতে নিহত জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর গ্রামের বিশালের (২১) বাড়িতে তাদের পরিবারের খোঁজখবর নিতে যান পাঁচবিবি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুর গফুর মণ্ডল।
বিকেলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে নিহত বিশালের কবর জিয়ারত ও দোয়া করেন। পরে বাড়িতে গিয়ে বিশালের মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন।
এ সময় তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বিশালের পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান করেন বিএনপির এই নেতা।নিহত কলেজছাত্র বিশাল ছিলেন পাঁচবিবি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা পেশায় দিনমজুর।
উল্লেখ্য, রোববার (৪ আগস্ট) সকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে যোগ দিতে স্থানীয় সহপাঠীদের নিয়ে জয়পুরহাটে যান বিশাল। আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তখন পুলিশের গুলিতে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন বিশাল।
এ সময় কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে নিলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পথেই কলেজছাত্রের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে জেলার কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ডেইজি আক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।