• শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৭ অপরাহ্ন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ শুরু

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৫০
মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট, ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রোড ‘মার্চ’ রাজু ভাস্কর্যের সামনে। ছবি : সংগৃহীত
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এ কর্মসূচির প্রথম দিনে পূর্বে যেখানে আন্দোলনকারীরা নিহত হয়েছেন সেই স্থান অভিমুখে ‘রোডমার্চ’ কর্মসূচি পালন ও চার দফা দাবি জানিয়েছে এ প্ল্যাটফর্মটি।

ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ (১৩ আগস্ট) বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।

পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি হয়ে হলপাড়া, ভিসি চত্বর ও ফুলার রোড় হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে একটি সমাবেশ আয়োজন করেন। সমাবেশে আন্দোলনকারীরা ৪ দফা দাবি জানান। এসময় তারা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং দোয়া করেন।

কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ‘আগামীকাল সারা দিন, খুনিদের মামলা দিন’, ‘ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, গণহত্যার বিচার চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘শহীদের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না’ ইত্যাদি সংবলিত স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সমাবেশে উত্থাপিত ৪ দফা দাবির প্রথম ২ দফা ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার‍ যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।

৩য় ও ৪র্থ দফা ঘোষণা করেন আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।

সমাবেশে সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আমরা দেখেছি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিভিন্ন জায়গায় কমিটি দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই, আমরা এখনো এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।

আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। তাই আমাদের আন্দোলনকে সামনে এগিয়ে নিতে আপনারা চাইলে ভলান্টিয়ার কমিটি গঠন করতে পারেন। তবে সেখানে কোনো সমন্বয়ক বা সহসমন্বয়ক থাকবে না। সবাই ভলান্টিয়ার সেখানে।

ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, আমাদের বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এটিকে রুখে দিতে রেজিস্ট্যান্স উইক কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। আমরা ছাত্র-জনতা যে কোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছি।

আমাদের শহীদ ভাইদের রক্তের বিনিময়ে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে সেই অভ্যুত্থানকে আমরা যে কোনো মূল্যে রক্ষা করব। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফ্যাসিবাদের দোসররা যতক্ষণ পর্যন্ত থাকবে, দেশের ছাত্র-জনতা ততক্ষণ পর্যন্ত রাজপথে অবস্থান করবে।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন