• শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন

মৎস্য উপদেষ্টাকে গণঅধিকার পরিষদের ৮ দফা প্রস্তাবনা

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৭১
বুধবার, ২১ অগাস্ট, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারকে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ভারতীয় ট্রলার প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপসহ ৮ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের একটি প্রতিনিধি দল।

বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে তারা এই প্রস্তাবনা তুলে দেন।

প্রস্তাবনাসমূহ হলো : ১। বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় ভারতীয় ট্রলারের মাছ আহরণ বন্ধ কর‍তে হবে। ২। মৎস্য ও প্রাণি খাদ্য উৎপাদন ব্যয় কমাতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে পশু খাদ্য উতপাদন কেন্দ্র স্থাপন ও বিতরণ করতে হবে। কেন্দ্র টু খামারি নো মিডিয়া। ৩। প্রতিটি ইউনিয়নে সমাজ ভিত্তিক পুষ্টি নিশ্চিতকরণে মাছ ও মাংস উৎপাদনে স্থানীয় উৎপাদনকারীদের সমন্বিত প্রশিক্ষণ প্রকল্প হাতে নিতে হবে। প্রতিটি জেলায় সরকারি জমি নির্ধারণ করে সরকারী ভাবে মাছ ও মাংস উৎপাদন কেন্দ্র বা খামার স্থাপন করা। ৪। দাম কমাতে পরিবহনে অতিরিক্ত ব্যয় শূন্যে আনতে হবে। কানেকশনটা সরাসরি উৎপাদন কারী টু মার্কেট প্রক্রিয়ায় আনতে হবে। মাছ ও মাংস আমদানী ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। এজন্য দেশীয় উৎপাদনকারীদের নির্দিষ্ট সময়ের/সিজনের জন্য ঋণ প্রদান করা প্রয়োজন যেটা তারা একবারে পরিশোধ করবে চাষ শেষে। ঋণ দেওয়া ক্ষেত্র গুলোর তত্ত্বাবধায়ন প্রক্রিয়ায় চুক্তি ভিত্তিক মন্ত্রনালয়ের/ ঋণ দেওয়া সংস্থার স্থানীয় প্রতিনিধি নিয়োগ দিতে হবে। ৫। মাছের অভয়াস্রম তৈরিতে দেশের বিল ও ঝিলের খাস জমি গুলো নির্ধারণ করে মাছ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় বাজার থেকে ন্যূনতম পরিমাণ খাজনা নির্ধারণ করতে হবে। বাজার কমিটি বাতিল করতে হবে। পশুর হাট ইজারা নিষিদ্ধ করতে হবে। সীমান্তে পশুর অবাধ চোরাচালান বন্ধে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মাছ ও পশু চোরাচালান বন্ধে কার্যকরী আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি ৩ মাসে স্থানীয় উৎপাদনকারীদের সাথে জেলার নির্দিষ্ট স্থানে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের বৈঠক বাধ্যতামূলক করতে হবে। ৬। শহর গুলোতে বাসার ছাদে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ উৎসাহিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ। পুকুর বা মাছ চাষ ক্ষেত্রে পানির উপর ভাসমান প্রক্রিয়ায় মুরগি ও হাস চাষের জন্য উৎসাহিত করতে হবে। ৭। দেশের নদী গুলোর মাছ প্রবাহ বৃদ্ধিতে স্থানীয় পর্যায়ে সকল জেলেদের সাথে মা মাছ ধরার ফলে দেশের ক্ষতি ও আইন সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। এবং নিষিদ্ধ মৌসমে জেলেদের রাষ্ট্রীয় ভাবে ভর্তুকী দিতে হবে। ৮। গ্রাম পর্যায়ে সকল বাড়িতে দেশি মুরগি ও হাঁস চাষাবাদ বাড়াতে একটি কার্যকরী প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন। মাছ মুরগি পশুর শরীরে কোন প্রকার মাংস বর্ধক বা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর এমন মেডিসিন প্রয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং আইন প্রণয়ন করে শাস্তির বিধান করতে হবে। গণঅধিকারের প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, সদস্য সচিব ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য ব্যারিস্টার জিসান মহসীন, যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, সদস্য সাকিব হোসাইন, ইমামুদ্দিন, যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ আতাউল্লাহ। বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সহ-সমন্বয়ক আরিফ বিল্লাহ প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন