পাকিস্তানের পর বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের পর ম্যাচসেরার পুরস্কারের অর্থ বন্যার্তদের সহায়তায় দেওয়ার ঘোষণা দেন মুশফিকুর রহিম। এর আগে একই পথে হেঁটেছেন লিটন কুমার দাস।
ম্যাচের এনার্জেটিক প্লেয়ারের পুরস্কার জয়ের প্রাইজমানি বন্যার্তদের সহায়তায় দেওয়ার ঘোষণা দেন বাংলাদেশের উইকেটকিপার ব্যাটার। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান।
জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড ছিল ১১৭ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ৩০ রান। কোনো উইকেট না হারিয়ে এ লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা। ফলে নিশ্চিত হয় ১০ উইকেটের জয়।
বড় শতক করে ইতিহাস গড়া এ জয়ে অবদান রাখায় ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন মুশফিক। ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে তিনি বলেন আমি একটা ঘোষণা দিতে চাই। বাংলাদেশে যারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের জন্য আমি আমার প্রাইজমানি দান করছি।
এর আগে ম্যাচের এনার্জেটিক প্লেয়ারের পুরস্কার জেতেন লিটন। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে অর্ধশতক করার পাশাপাশি উইকেটের পেছনেও দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। চারটি ক্যাচ ও দুটি স্ট্যাম্পিং করেন তিনি। ফলে জেতেন ম্যাচের এনার্জেটিক ব্যাটারের পুরস্কার।
পুরস্কার হাতে লিটন বলেন পাকিস্তানকে প্রথমবার টেস্ট ম্যাচে হারিয়েছি সেখানে অবদান রাখতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত। দেশে বন্যা পরিস্থিতির কারণে এই জয়টাও ঠিকমত উপভোগ করতে পারছি না, মনটা পড়ে আছে দেশে।
এ সময় তিনি আরও বলেন আমি এই ম্যাচে এনার্জেটিক প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার হিসেবে প্রাপ্ত অর্থ বন্যার্তদের জন্য দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি। যারা দেশে আছেন তারা সবাই সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসুন। যত বিপদ তত ঐক্য। বাংলাদেশ হারবে না।
উল্লেখ্য দেশের ১১ জেলা বন্যা আক্রান্ত হয়েছে। জেলাগুলো হলো- ফেনী কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার।
এতে ১৮ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রামের ৫ জন, কুমিল্লার ৪ জন, নোয়াখালীতে ৩ জন, কক্সবাজারে ৩ জন এবং ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুর জেলায় একজন করে মারা গেছেন।