বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। আবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলিও চালিয়েছে। এতে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অনেক তারকরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কেউ কেউ আবার রাজপথেও নেমে

তবে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে দেশ থেকে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর, দলটির অনেক নেতাকর্মীও দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ আবার আত্মগোপনেও চলে যান। এর মধ্যে আবার আওয়ামীপন্থী কয়েকজন তারকা রয়েছেন।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সোশ্যাল মিডিয়া হোয়াটসঅ্যাপের ‘আলো আসবেই’ নামক একটি গ্রুপের কথোপকথনের শতাধিক স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। স্ক্রিনশটে দেখা যায়, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও সাবেক সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌসের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামক গ্রুপে কথোপকথন চালিয়েছেন আওয়ামী সমর্থিত শিল্পীরা।

গ্রুপটিতে শিল্পীদের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিতে দেখা গেছে। এতে দেখা যায় অরুণা বিশ্বাস শিক্ষার্থীদের ওপর গরম পানি ঢালার পরামর্শ দেন। আবার অন্য একটি স্ক্রিনশটে দেখা যায় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়েও সমালোচনা করেছেন গ্রুপ সদস্যরা।

এবার এ ব্যাপারে নিজের মতামত জানালেন নির্মাতা ফারুকী। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড প্রোফাইলে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তিনি লেখেন, ‘সহকর্মী ও ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশটগুলো উল্লেখ করে যে, তারা অত্যাচারী শাসকের সহযোগী হিসেবে কাজ করছিল এবং আমাকে নিয়ে বিভিন্ন নোংরা শব্দ ব্যবহার করেছে, অত্যাচারী থাকলে তারা হয়তো আমার এবং তিশার কোনো না কোনো ক্ষতি করতো। আমার ব্যক্তিগত নিরাময়ের উপায় ভুলে যাচ্ছে। ভালো থাকতে দাও, আমীন।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘সরকারের উচিত আলোচার মাধ্যমে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা। ১৪৬টি স্ক্রিনশট পাওয়া গেছে। যারা এই আন্দোলনের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে উস্কানি দিয়েছে, তাদের সবারই তদন্ত সাপেক্ষে বিচার করা উচিত।