অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম গণভবন পরিদর্শনে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনি গণভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা সাংবাদিকদের এমনটি জানিয়েছেন।
এর আগে গণভবনকে জুলাই অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কেবিনেট সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
আসিফ বলেন, গণভবনকে জুলাই অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। আর সেখানে জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে দল বা জোট বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল তারা আর ফিরতে পারবে কি না, তা জনগণের কাছেই ছেড়ে দেওয়া রয়েছে।
দলের বিচার হবে নাকি ব্যক্তির বিচার হবে, এ বিষয়ে আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের সহায়তা নেওয়া হবে বলেও জানান উপদেষ্টা আসিফ।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এর মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এদিন ছাত্র-জনতা গণভবন দখলের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে স্মৃতি হিসেবে জাতির সামনে তুলে ধরতে গণভবনকে জাদুঘরে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, গণভবনকে জাদুঘর করার প্রস্তাব দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তিনি বলেন, ‘যে গণভবনটি ছিল, যেখানে ফ্যাসিজমের আখড়া হয়েছিল।’