• মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন

পানিবন্দী নাজিরপুর পোস্ট অফিসের সম্মুখ সড়ক, দুর্ভোগে নাজিরপুর উপজেলার মানুষ

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৬৪
বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

প্রতিনিধি, নাজিরপুর (পিরোজপুর) ঃ

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার পোস্ট অফিস সড়কটি অর্ধ বছর ধরে পানিতেডোবা অবস্থায় আছে।সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের দুর্ভোগ সীমাহীন। সড়কের দু-পাশে ড্রেন ব্যবস্থা না থাকায় এবং পানি নিষ্কাশনের কোন মাধ্যম না থাকায়,সামান্য বৃষ্টি এবং পানি হলেই ১ ফিট পানি জমে সড়কে। পানি জমে থাকার কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নাজিরপুর উপজেলার মানুষ । জরুরী চিঠি কাগজপত্র ছাড়াও বিদেশী রেমিট্যান্স দেশে আপনজনের হাতে পৌঁছে দিতে একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম এই পোস্ট অফিস । বর্তমান আধুনিকতার যুগে ই-মেইল,অনলাইন এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবাদে পোস্ট অফিসের গুরুত্ব কিছুটা কমলেও ব্যাংকিং খাতের ভোগান্তির কারণে পোস্ট অফিসে জীবনবীমা, সঞ্চয়পত্রের টাকা জামানত রাখা কিংবা জরুরি কাগজপত্র পাঠাতে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে পোস্ট অফিসের। যার কারণে গ্রাহকেরা প্রতিদিন উপজেলার পোস্ট অফিসে তাদের বিভিন্ন কাঙ্ক্ষিত সেবা নিতে। অথচ এই পোস্ট অফিসের সড়কটি পানিবন্দী থাকায় বেহাল দশা,
ভাগারে পরিনত হয়েছে পোস্ট অফিস সড়ক।সরেজমিনে গিয়ে ২১ অক্টোবর (সোমবার) দেখা যায় পোস্ট অফিসের রাস্তাটি পানিতে নিমজ্জিত এবং নোংরা পানিভর্তি রাস্তা দিয়ে গ্রাহক পোস্ট অফিসে যাচ্ছে। এই নোংরা পানির মধ্যে দিয়ে চলাচল করেই অফিসিয়াল কাজ করছে এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং সাধারণ জনগণ। আবার অনেকে এই রাস্তা পার হচ্ছে ভ্যান
এবং নিজস্ব মোটরযান ব্যাবহার করে।
পোস্ট অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের পানিবন্দী সড়ক পার করে দিচ্ছেন ভ্যানচালক জাকির হোসেন। তিনি বলেন, পোস্ট অফিস সড়ক পানিতে তলিয়ে থাকায় আমার জন্য ভালো হয়েছে। আমরা এক কিলোমিটার গাড়ি চালালে একজন যাত্রী আমাদের পাঁচ টাকা ভাড়া দেয় কিন্তু এই পোস্ট অফিস সড়কে পঞ্চাশ ফিট রাস্তা পার করে দিলে দশ থেকে বিশ টাকা দেয় প্রত্যেক যাত্রী। তাই প্রতিনিয়ত আমি এখানে গাড়ি চালাই।
এতে আমার শ্রম ও কম হয় এবং টাকাও বেশি উপার্জন হয়।

এ বিষয়ে নাজিরপুর সদরের বাসিন্দা হোসেন আলী সেখ জানান, আমি পোস্ট অফিসের একজন নিয়মিত গ্রাহক। পোস্ট অফিসের রাস্তাটি পানিবন্দি থাকার কারণে আমারদের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। এখানকার পানি পায়ে লাগলে অনেক চুলকায়। উপজেলার পোস্ট অফিস সড়কের এমন বেহাল দশায় আমি মর্মাহত।

এ বিষয়ে উপজেলা পোস্টমাস্টার মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন,আমি এখানে দুমাস যাবত দ্বায়িত্বে এবং কর্মরত আছি। অফিসে যোগদানের পর থেকেই দেখছি পোস্ট অফিসের রাস্তাটি পানিতে নিমজ্জিত। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আমি এই দুই মাসে তিন বার গিয়েছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে স্যার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবেন বলে তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন কিন্তু এই পর্যন্ত কোনো ফলাফল পাইনি।

এ বিষয়ে নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুপ রতন সিংহ জানান, অবশ্যই পোস্ট অফিস সড়কের জলাবদ্ধতার নিরাসন করা হবে। আমি উপজেলা ইন্জিনিয়ারকে সাথে করে পোস্ট অফিসের সড়কটি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এখানে ঠিকাদার নিয়োগ করে এই অচল অবস্থা নিরাসন করার জন্য কোন প্রকল্প পাশকরা যায় কিনা তার জন্য। কিন্তু বর্তমানে ঠিকাদারদের অচল অবস্থা এবং এলাকাবাসীর অসহযোগিতার কারনে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। এটা আসলেই একটা জটিল সমস্যা। আমি স্থানীয়দের নিয়ে আবারও বসবো। আশা করছি তাদের সহযোগিতায় একটা ভালো সমাধান হবে।তিনি আরও জানান,তার পূর্বের নির্বাহী কর্মকর্তাগন এই সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করে গেছেন। এখানকার স্থানীয়দের একপক্ষ উপজেলা প্রশাসনকে সহোযোগিতা করলেও অপর পক্ষ সহযোগিতা করেছেন না বিধায় জলাবদ্ধতার সমাধান হয়নি।

 


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন