সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, আঃ কাইয়ুম খান । বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারটি বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলায় অবস্থিত। সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, মহিষ খামারে বর্তমানে মোট জনবল ১০জন।এর মধ্য ৩জন কর্মকর্তা, ৪জন অফিস সহায়ক ও ৩জন লেবার রয়েছে। এখানে ১২টি সেডে ৪৫০ টি মহিষ রয়েছে। যার তদারকির জন্য এতদিন প্রজেক্টের আওতায় ৩২ জন ও রাজস্ব খাতে ১০ জন জনবল নিয়োজিত ছিল। সিনিয়র সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ আহসান হাবিব প্রামানিক এখানে যোগদানের পর থেকে ঘুরে দাঁড়ায় রাজস্ব জমা। ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব জমার পরিমাণ ছিল ৩৬ লক্ষ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে জমা হয় ১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা এবং দুধের উৎপাদন ছিল ২০২১ -২২ অর্থবছরে ৬৮ হাজার লিটার, ২০২২- ২৩ অর্থবছরে ৭২ হাজার লিটার, ২০২৩- ২৪ অর্থবছরে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার লিটার, এটা সম্ভব হয়েছে ৩২ জন প্রজেক্ট কর্মী ও ১০জন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায়। এমন তথ্য জানান, খামারটির বর্তমান সিনিয়র সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ আহসান হাবীব প্রামানিক। তিনি আরো জানান, ২০২৪সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রজেক্টের আওতায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ড্রাইভার, মুদ্রাক্ষরিক, মাঠকর্মী ও নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহায়ক হিসাবে চাকরি করে আসছিল ৩২জন কিন্তু জুলাই মাস থেকে প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তারা পরিবার পরিজন নিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। তবে তারপরেও তারা বিনা পারিশ্রমিকে এখনো কাজ করে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে তারা কাজ বন্ধ করে দিলে খামারে সাময়িক অচলাবস্থা তৈরি হবে। রাজস্ব খাতে এখানে ৫২ টি পদ থাকলেও কর্মরত আছে মাত্র ১০জন বাকি ৪২ টি পদ শূন্য। রাজস্ব খাত ও প্রজেক্টের জনবল নিয়েই খামারটি পরিচালিত হচ্ছিল। প্রজেক্ট এর অধীনে কর্মরত মোঃ শফিক বলেন আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করে দীর্ঘদিন যাবত প্রজেক্টের আওতায় মহিষ খামারে কর্মরত ছিলাম, গত জুন মাসে প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমি পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছি। খামারের মায়ার টানে এখনো এখানে প্রতিদিন আসি ও বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করছি। সরকার যদি আমাদেরকে নিয়মিত নিয়োগ দেয় অথবা প্রজেক্ট এর মেয়াদ যদি বাড়ে সে আশায় কাজ করছি। একই কথা বলেন মাস্টার্স পাশ লিটন দাস ও কামরুল হাসান সহ সকল প্রজেক্ট কর্মীরা। এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ আহসান হাবীব প্রামানিকের সাথে আলাপ কালে তিনি প্রতিবেদককে জানান, প্রজেক্ট এর জনবলের জীবন মানের কথা বিবেচনা করে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে কাজ করানো যায় কিনা সে বিষয়ে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ চলছে।