• শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:০৬ অপরাহ্ন

ব্যবসা বন্ধ করলে ভারত অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ২৬
শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি : প্রতিদিন খবর
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক না রাখলে তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভারত তো আমাদের বিনা পয়সায় মালামাল দেয় না। পয়সা নিয়েই দেয়। তারা যদি মনে করে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করবে বন্ধ করুক। তারা গরু বন্ধ করেছে। তাই বলে কী আমরা এখন গরু খাচ্ছি না। ব্যবসা বন্ধ করলে ভারত অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দুই দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে লাখ লাখ মানুষ জড়িত। রাজনৈতিক অবরোধ বিভিন্ন সময়ে দুই পাশেই হয়ে থাকে এ কারণে ২/১ দিনের সমস্যা হতে পারে। তবে ভারতের ব্যবসায়ীরা এসব মেনে নিবে না। তারা এই বাজারটাকে নষ্ট করবে না। তাই আমাদের চিন্তা করার কোনো কারণ নেই, ব্যবসা নষ্ট করলে তাদের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের কারণে আমাদের থেকে তাদের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ ভারতের সঙ্গে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে থাকতে চায়। কিন্তু এসব দেখলে তারা ভারতের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যায়। ভারতীয় মিডিয়া গুজব ছড়িয়ে তাদের টিআরপি বাড়াচ্ছে, তবে অন্যদিকে বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।

জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোই সরকার গঠন করবে। তবে স্বাধীনতার ৫২ বছরে সবগুলো রাজনৈতিক দল কোনো সময়ে এক টেবিলে বসেনি। এই সংকটকালীন সময়ে সব দলে একসঙ্গে বসেছে। এমনকি ধর্মীয় নেতারা বসেছে। আশা করি আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারাও সংকটকালীন সময়ে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ভোমরা স্থলবন্দরে পৌঁছে প্রথমে তিনি ভোমরা ইমিগ্রেশন পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্ট যাত্রীদের কোনো হয়রানি হয় কিনা সে বিষয়ে সার্বিক খোঁজ খবর নেন। পরে ভোমরা কাস্টমসের যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যানার মেশিন, স্থলবন্দরের পণ্য পরিমাপ স্কেলসহ বন্দরের বিভিন্ন সেড পরিদর্শন করেন। পরে ভোমরা স্থলবন্দরের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ স্থলবন্দর আয়োজিত ভোমরা স্থলবন্দরের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন