রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস উপলক্ষে পদক দেওয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
এসময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।তিনি বলেন, বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ীই তাকে ফেরানো যাবে।
সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমাদের নীতিগত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন আসেনি জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গাদের কোনো অবস্থাতেই প্রবেশ করতে দেবো না। যারা অসুস্থ, শুধু তারাই মানবিক দিক বিবেচনায় আশ্রয় পাচ্ছেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দুই মাসের মধ্যে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশের যে কথা বলেছেন, সেটা ‘স্লিপ অব টাং’। দুই মাসে নয়, গত দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে ৬০ হাজার প্রবেশ করেছে।
এর আগে গতকাল রোববার (২২ ডিসেম্বর) রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, সীমান্তে প্রচুর দুর্নীতি আছে, এটি সত্য। অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। রোহিঙ্গারা দুর্নীতির মাধ্যমে ঢুকছে। নৌকা নিয়ে ঢুকছে। তারা যে কোনো একটি সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে, বিষয়টি এমনো না, বিভিন্ন জায়গা দিয়ে ঢুকছে। এটিকে আটকানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে আমি মনে করি না রোহিঙ্গাদের আর একটি ঢল আসবে। যদিও অনেকে আশঙ্কা করছেন। এই আশঙ্কা আমাদেরও আছে। তবে সেই ঢলকে আটকানোর ব্যবস্থা করতে হবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে।
গত দুই মাসে রাখাইন থেকে বাংলাদেশে নতুন করে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমাদের নীতিগতভাবে অবস্থান ছিল আর কোনো রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দেব না। তবে পরিস্থিতি কখনো কখনো এমন দাঁড়ায় যে আমাদের কিছু আর করার থাকে না। সে রকম পরিস্থিতিতে আমরা ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দিয়েছি। আনুষ্ঠানিকভাবে যে তাদের ঢুকতে দিয়েছি, তা-ও নয়, তারা বিভিন্ন পথে ঢুকেছেন।
এদিকে কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধা হেনস্তাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তা করছে, তাদের আইনের আওতায় অবশ্যই নিয়ে আসবো।