আঃ হাকিম, বিশেষ প্রতিনিধি, খুলনা বিভাগ।
খুলনায় ১৪৬ টি ইট ভাটার মধ্যে ৪৫ টি বৈধ থাকলেও বাকী১০১টি ভাটা গুলো চলছে অবৈধ্যভাবে।আইনের তোয়াক্কা না করে খুলনায় প্রতিটি উপজেলায় গড়ে উঠেছে ইট ভাটা। হালনাগাদ লাইসেন্স সহ নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনবহুল এলাকা সহ ফসলি জমিতে তৈরি হয়েছে এ সকল ইটভাটা। হুমকিতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। চরমভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে স্থানীয়রা। তবে জেলা প্রশাসন বলছেন অবৈধ ইটভাটা অচিরেই বন্ধ করে দেয়া হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, জেলায় মোট ১৪৬ টি ইট ভাটার মধ্যে ২৩টি বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে চলমান ১২৩ টি ইটভাটার মধ্যে বৈধতা রয়েছে মাত্র ৪৫ টি। বাকী ৮৭ টি ভাটা গুলো চলছে অবৈধ্যভাবে। অনেক ইট ভাটার মালিকগন পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইন্সের জন্য আবেদন করলে, সে সব ভাটা গুলো পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইন্সেস পাওয়ার উপযোগী নয়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, খুলনায় ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাজারসহ ঘনবসতি আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠছে লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বিহীন ইটভাটা। ভাটার কালো ধোঁয়ায় চরমভাবে ক্ষতি করছে জনজীবনে। ক্ষতির মুখে গাছপালা সহ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে। অনেক ইট ভাটায় ইট পুড়াতে কাঠখড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। জেলায় মাত্র কয়েকটি ইটভাটার অনুমোদন থাকলেও বেশিরভাগ ভাটাই চলছে অবৈধভাবে। বন্ধ ২৩ টি ইট ভাটার কথা থাকলেও প্রকৃত ভাবে অনেক বন্ধ ইট ভাটা নতুন করে চালু করা হয়েছে। এসব অবৈধ ইট ভাটার কারনে এক দিকে পরিবেশের ভারসাম্যের ক্ষতির পাশাপাশি কার্বন-ডাই-অক্সাইডে দূষিত হচ্ছে আশপাশের এলাকা। চরমভাবে ঝুঁকিতে ইট ভাটা নিকটবর্তী কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ডুমুরিয়ার গরীবুল্লাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর এক শিক্ষার্থী জানান, জেসি ব্রিক্স ইটভাটার কারনে স্কুলের ভিতরে, প্রচুর ধূলা আসে যখন ইট ভাটার গাড়ি গুলো মাটি নিয়ে যায়। আর একদিকে প্রচুর কালো ধূয়ো আমাদের স্কুলে আসে। এতে আমরা মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্যঝুকিতে পড়ি। আমরা চাই ইট ভাটাটা বন্ধ করে দেয়া হক।
ডুমুড়িয়ার জেসি ব্রিক্স ইটভাটার মালিক আলামিন বলেন, পরিবেশ লাইন্সের জন্য আবেদন করেছি। দু'বছর আগে লাইন্সেস পেলেও আমরা কিছু ভাটার মালিক কেউ লাইন্সেস পাচ্ছি না। কেন পাচ্ছি না জানিনা। আশা করছি আবেদন করেছি খুব শীঘ্রই পরিবেশের লাইন্স পাবো।
পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় পরিচালক মোঃ সাদিকুল ইসলাম বলেন, খুলনা জেলার অনেক ইটভাটাই অবৈধ। আইনের ধারায় তাদের আবেদন না মঞ্জুর করা হয়েছে।