এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগ চক্রে (১ম-৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে) আবেদনকৃতদের দিয়ে শুন্য পদ পূরণ না করায় বৈষম্যের শিকার ও সিস্টেম দূর্নীতিতে নিয়োগ বঞ্চিত ১ম -১২তম ব্যাচে উত্তীর্ণ যোগ্য নিবন্ধিত শিক্ষকদের ডেটাবেস পৃথক করে এবং বিগত ১৭ অক্টোবর ও ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখ মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার এপিএস জনাব সাব্বির আহমেদ স্যার এর প্রতিশ্রুতি অবিলম্বে বাস্তবায়ন সহ আমলাতান্ত্রিক সকল জটিলতা নিরসন করে নিয়োগের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আছেন প্রানপ্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগন,বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং প্রশাসনের সর্ব স্তরে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি সহ সুধীমন্ডলী। সবাই কে আমার অন্তরের অন্ত:স্হল থেকে আন্তরিক সালাম জ্ঞাপন করছি। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, বিগত ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করছি আমরা। সর্বশেষ ১৭ অক্টোবর ও ২৩ ডিসেম্বর তারিখ ২০২৪ সালে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার এপিএস জনাব সাব্বির আহমেদ স্যার এর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অবিলম্বে নিয়োগ প্রত্যাশী শিক্ষকদের নিয়োগের মাধ্যমে একজন পেশাজীবি শিক্ষক হওয়ার পথকে সুপ্রসন্ন করুন।কারণ আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুইজন মন্ত্রী ডা. দিপু মনি ও ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল এর যোগসাজশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আমলাদের চরম নির্লজ্জ দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির রোষানলে পড়ে আমরা ১ম -১২তম বৈধ সনদ ধারী চরমভাবে বৈষম্যের শিকার। যার কতিপয় উদাহরণ প্রিয় সাংংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমে গোটা দেশবাসীীর সামনে উপস্থাপন করছি ।
১) ১৭টি নিয়োগ সুপারিশ এর পরীক্ষা নিয়ে মাত্র ৫টি গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের প্রহসন করা হয়েছে।
২) আবেদনই করে নাই অথচ নরসিংদী জেলায় পলাশ থানাধীন খুদি মাহমুদ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম এর শ্যালিকা রাবেয়া সুলতানা কে চাকরি দেওয়া হয়েছে অথচ আমাদের অনেকেই একই প্রতিষ্ঠানে একাধিক বার আবেদন করেও চাকরি পাইনি। বলা হয়েছে যোগ্য শিক্ষক পাওয়া যায়নি। এটা চরম নির্লজ্জ মিথ্যাচার। এছাড়া ৬০ হাজার জাল সনদধারী চাকরি করছে পত্রিকা তে প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি ২ লক্ষ টাকায় সনদ এবং ৬ লক্ষ টাকায় চাকরি। অর্থাৎ জনপ্রতি ৮ লক্ষ টাকা হলে ৬০ হাজার জাল সনদ ধারী দের কাছ থেকে ৪৮ হাজার কোটি টাকার দূর্নীতি হয়েছে । ৩) ৩৫ বছরের বেশি বয়সী কাউকে চাকরি দেওয়া হবে না বলা হলেও ১ম -৫ম ব্যাচের ৪৪০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে লক্ষাধিক শুন্য পদ থাকলেও আমরা বৈধ সনদ নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
এমনকি ১২জুন ২০১৮ ইং তারিখের আগে পাসকৃত নিবন্ধন সনদ ধারী দের নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়স শিথিল যোগ্য। শুধু তা-ই নয় ১৩ তম নিবন্ধন সনদ ধারীদের সনদে উল্লেখ আছে সনদের মেয়াদ ৩ বছর। অথচ ১ম -১৩তম নিবন্ধন সনদ ধারীদের সাথে আমাদের একত্রিত করে ন্যায্য অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
এই সকল বৈষম্য দূরীকরণ করতে আমরা ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর থেকে মানববন্ধন করে অদ্যাবধি বহু দেনদরবার করে আসছি। প্রানপ্রিয় সচেতন দেশবাসী, আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, প্রধান উপদেষ্টার এপিএস জনাব সাব্বির আহমেদ স্যার এর মুখ থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অর্থই হলো মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার মুখের কথা। অথচ আমলারা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার এপিএস জনাব সাব্বির আহমেদ স্যারের কথা অমান্য করছে, এর অর্থ কি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার আদেশ প্রকারান্তরে অমান্য করা নয়? ফলে কাল বিলম্ব না করে অবিলম্বে নিয়োগ প্রত্যাশীদের রুটি রুজির ব্যবস্থা করুন। তা না হলে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব ধুলায় ধূসরিত হয়ে যাবে। এমনকি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার তাত্ত্বিক গবেষণা থ্রি জিরো’র মূল প্রতিপাদ্য বেকারত্ব শূন্যে নামিয়ে আনা দুরূহ হয়ে যাবে। যা রাষ্ট্রের জন্য অশনি সংকেত হিসেবে আমরা দেখতে পাচ্ছি । কাজেই কাল বিলম্ব না করে অবিলম্বে ১ম -১২তম নিবন্ধন সনদ ধারী দের নিয়োগের সুনিশ্চিত ঘোষণা করতে হবে। তা না হলে পরে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী শাহবাগ মোড়ে সকাল ১১ টা থেকে রাত্রিযাপন সহ লাগাতার শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং ১১ তারিখ সকাল ১১টায় শান্তি পূর্ণভাবে পদযাত্রার মাধ্যমে শাহবাগ মোড় থেকে সচিবালয়ের প্রত্যেক গেইটে আমাদের পক্ষে থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হবে। যার পরিনতির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সকল আমলারা দ্বায়ী থাকবেন। যতক্ষণ সুনির্দিষ্ট তারিখ সহ নিয়োগের ঘোষণা আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সচিবালয়ে অবস্থান অপ্রতিরোধ্য গতিতেই বেগবান থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আমলাদের উদ্দেশ্যে বলি আপনারা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন। নইলে পরিনতি ভালো হবে না। সকলকে ধৈর্য্য ধারণ করে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। ধন্যবাদন্তে জি এম ইয়াছিন আহবায়ক ও প্রধান সমন্বয়ক। এনটিআরসিএ ‘র নিবন্ধিত ১ম -১২তম নিয়োগ প্রত্যাশী শিক্ষক পরিষদ।