জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার চারাইলদার গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে মো: সোয়াইব দীর্ঘদিন যাবত তার স্ত্রী বিউটি বেগমের নিকট যৌতুক দাবী করে আসছে।২০২১সালে যৌতুকের জন্য মারধর করে বিউটি বেগমের হাত ভেঙে দেয়।এক পর্যায়ে গ্রামের কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তিদ্বারা শালিস করে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়।কিন্তু তবুও থেমে থাকেনি ঘৃণিত সোয়াইব ও তার বাবা নুরুজ্জামান।কোন না কোন ছোট খাটো কাজে ভুল পেলে বাবা ছেলে মিলে নির্যাতন করে আসছিলেন বিউটি বেগমের উপর।ইতিমধ্যে বিউটি বেগমের বাবা ৭০০০০০৳ যৌতুক হিসেবে দেন সোয়াইবকে।কিন্তু সোয়াইব আরও যৌতুক দাবী করে এতে মেয়ের পরিবার অশ্বীকার জানায় আর সাথে সাথে শুরু হয় বিউটি বেগমের উপর পাশবিক, মানসিক নির্যাতন।এভাবে কেটে যাচ্ছিলো বিউটির সংসার।সোয়াইব ও বিউটির সংসারে একটি দুই বছরের ছেলে সন্তান আছে।গত ২৫-০১-২৫ তারিখে সোয়াইব গোপনে বিউটি বেগমকে তালাক প্রদান করেন, বিষয়টি গোপন রেখে।তালাক প্রদানের পর দীর্ঘ ১০/১২দিন ধরে বিউটি বেগমকে তার নিকট রেখে দেন এবং গত ১৭/০২/২৫তারিখে বিউটিকে তার ঘৃত স্বামী সোয়াইব বিউটির মামার বাড়িতে রেখে আসেন।পরবর্তীতে ১৯/০২/২৫তারিখে বিউটি বেগমের বাড়িতে তালাক নামা ডাকযোগে পৌছালে বিষয়টি সকলে বুঝতে পেরে সোয়াইবের নিকট যান এবং এই বিষয়ে জানতে চাইলে সোয়াইব বিউটি বেগমকে মেরে তার কোল থেকে দুধের শিশুকে ছিনিয়ে নেয়।
উপরোক্ত বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।মেলান্দহ থানার সেকেন্ড অফিসার হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন যে-আমরা ব্যাপারটা দেখছি ও খুব শীগ্রই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের নিকট হস্তান্তর করা হবে।