• বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:০৪ অপরাহ্ন

খুলনা রুপসায় কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে সেলিম ব্রিকস ১ ও ২

HM Hakim / ৫৩
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
{"data":{"pictureId":"826b2dacf7e94605bea86a0a2b1de347","appversion":"4.5.0","stickerId":"","filterId":"","infoStickerId":"","imageEffectId":"","playId":"","activityName":"","os":"android","product":"lv","exportType":"image_export","editType":"image_edit","alias":""},"source_type":"vicut","tiktok_developers_3p_anchor_params":"{"source_type":"vicut","client_key":"aw889s25wozf8s7e","picture_template_id":"","capability_name":"retouch_edit_tool"}"}
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

 

আঃ হাকিম, বিশেষ প্রতিনিধি খুলনা।

খুলনা জেলার রুপসা উপজেলায় সেলিম ব্রিকস ১ ও ২ কোন প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই পরিচালিত হচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে পালের বাজার সংলগ্ন সেলিম ব্রিকস ১ এ দেখা যায় এল জি ই ডি’র চলাচলের রাস্তার দুই পাশ দখল করে একপাশে ইটের বিশাল বিশাল স্তুপ অপর পাশে জ্বালানি হিসাবে ইটভাটায় নিষিদ্ধ বস্তা ভর্তি কয়েকশো বস্তা প্লাস্টিক বর্জ্য রাখা আছে । কয়লার সাথে প্লাস্টিক বর্জ্য মিশ্রণ করে ইট ভাটায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে। ভাটাটির আশপাশে রয়েছে কয়েকশো জনবসতি। পরিবেশ অধিদপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী প্লাস্টিক বর্জ্যের ধোঁয়া মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই ধোয়া থেকে প্রাণঘাতী বিভিন্ন রকমের রোগ তৈরি হতে পারে। একই সাথে এই ইট ভাটাটি আঠারো বেকি নদীতে প্রতিনিয়ত ইটের আধলা, সুরকি ফেলে নদী দখল করে চলছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ।
পাশাপাশি নদীর পাড়ের সরকারি জায়গা থেকে এস্কেভেটর দিয়ে প্রতিনিয়ত বড় বড় গর্ত করে ইট প্রস্তুতের জন্য মাটি সংগ্রহ করছে। ফলে বর্ষার মৌসুমে প্রতিবছর নদীর পানি উপচে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এল জি ই ডি’র রাস্তা এমন বক্তব্য স্থানীয়দের।

অপরদিকে আলাইপুর গোয়ালবাড়ির চরে সেলিম ব্রিকস ২ এ দেখা যায়, ইটভাটার সীমানার সাথে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ২৭০ টি পরিবারের বসতি। এ সমস্ত ঘর ও সংলগ্ন জনবসতি এলাকায় বৃদ্ধ ও শিশু সহ প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস। বিশাল এ জনসংখ্যার স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে পরিবেশ অধিদপ্তর কখনও এ ভাটাটিকে ছাড়পত্র দেয় নাই। তবুও বহাল তবিয়তে এই ইটভাটাটি তার অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি ইটের আধলা ও সুরকি দিয়ে নদী ভরাট ও আশ্রয়নের ঘরের সামনে থেকে বড় বড় গর্ত করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইট প্রস্তুতের জন্য। ফলে আস্রয়নের সামনের ওয়াপদার রাস্তাটি ও রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে। ইটভাটা দুটিতে সবদিক থেকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন২০১৩ এর সকল ধারা লংঘন করে বেপরোয়া কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এসব অবৈধ কার্যক্রম সম্পর্কে ইটভাটা দুটির মালিক মোঃ সেলিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এসব দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের আপনাদের এসব দেখার দায়িত্ব কে দিয়েছে বলে উল্টো প্রশ্ন ছুড়েন এ প্রতিবেদককে।

সার্বিক বিষয় নিয়ে রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডু এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে ইটভাটা দুটি অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন