মো.নাজমুল হাসান (ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম )প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক সন্তানের জননীকে গনধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা।
গতকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত পাঁচ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের জহুরুল হকের পুত্র ধর্ষক মইনুল হকের (২২) এর সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক মাস যাবত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ভুক্তভোগী ওই মহিলা উপজেলার বড়লই এলাকায় তার দুলাভাইয়ের বাসায় বেড়াতে যান। সেই সুবাদে ধর্ষক মইনুল হক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভুক্তভোগী ওই মহিলাকে দেখা করতে বলেন। দেখা করতে রাজি হলে ধর্ষক মইনুল হক তার সহযোগী হাসানুলকে মোটরসাইকেল নিয়ে আনার জন্য পাঠিয়ে দেন। সহযোগীর মোটরসাইকেলে চড়ে উপজেলার চরবড়লই বাজারে ওই নারী আসলে একটি ইউক্লিপটাস বাগানে ধর্ষক ও তার সহযোগী দুজনে মিলে রাত সাড়ে দশটার দিকে ধর্ষণ করেন। পরে তারা ওই নারীকে একটি অটোরিক্সায় উঠিয়ে তার দুলাভাইয়ের বাসা পাঠিয়ে দেন। ওই নারী দুলাভাইয়ের বাসায় আসার পথে বাংলাবাজার মোড়ের মধ্যে ওৎ পেতে থাকা ধর্ষক ইয়াকুব আলী (২৫), লাল মিয়া (৪০), আতিয়া রহমান (৩৫) অস্ত্রের মুখে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই মহিলাকে আবারো ধর্ষণ করেন।

পরে এ ঘটনায় (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভুক্তভোগী ওই ধর্ষিতা মহিলা ফুলবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে তারই প্রেক্ষিতে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে পাঁচ ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটককৃতরা হলেন - উপজেলা সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামের জহুরুল হকের পুত্র মইনুল হক(২২),একই গ্রামের একরামুল হকের পুত্র হাসানুল হক (২০), উপজেলার চর বড়লই গ্রামের শাহাদত হোসেনের পুত্র ইয়াকুব আলী (২৫), মৃত ইলিম উদ্দিন সরকারের ছেলে লাল মিয়া (৪০), চড়বড়লই হাজিটারি গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র সোহেল রানা (২১),একই এলাকার আফজাল হোসেন সরদারের ছেলে আতিকুর রহমান (৩৫) এবং হলোখানা ফকিরটারি গ্রামের এরশাদুল হকের ছেলে আলামিন (২০)।

ধর্ষিতা নারীর পিতা আশরাফুল হক জানান আমার মেয়ে যদি ওইখান থেকে না পালাতো তাহলে ওরা আমার মেকে মেরে ফেলত আমি এর উচিত বিচার চাই,
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদ জানান, ,অ‌ভিযুক্ত আসা‌মি‌দের ম‌ধ্যে পাঁচ জন‌কে গ্রেফতার করা হ‌য়ে‌ছে। ভি‌কটি‌মের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা সহ গ্রেফতার আসা‌মি‌দের আদাল‌তে পাঠা‌নোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।