• শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন

প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন: আইনমন্ত্রী

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৯৩
রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

অনেক সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে হয়রানির অভিযোগ উঠছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রয়োজন হলে আইনের বিধি সংযুক্ত বা পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে।

রোববার (২ এপ্রিল) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত সেমিনার শেষে এসব কথা বলেন তিনি। ‘বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে আরবিট্রেশন আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কার’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম আলোর সম্পাদক ও নিজস্ব প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, দেশের কোনো গণমাধ্যম বা সাংবাদিকের বিরুদ্ধ সরকার মামলা করেনি; মামলা হয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অপরাধের বিরুদ্ধে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বিশ্বের সব দেশে আছে। কিন্তু সেখানে হয়তো সরাসরি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বলা নেই। ডিজিটাল অপরাধ কমাতে এ আইন করেছে সব দেশ।

আনিসুল হক বলেন, আমাদের এখানে অনেক সময় এই আইনের (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) মাধ্যমে হয়রানির অভিযোগ এসেছে। প্রয়োজন হলে আইনের বিধি সংযুক্ত করা বা পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে। গত ১৪ মার্চ এ বিষয়ে সুধীজনদের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে।

দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদকের আগাম জামিন শুনানিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না, বলা ঠিকও হবে না। তবে বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার শুনানিতে সাতটি আদালত অপরাগতা প্রকাশ করেছিল।

এসময় আইনমন্ত্রী জানান, দেশে-বিদেশে বা জাতিসংঘে আলোচনায় এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু অপব্যবহার হয়েছিল, সেটা আমরা স্বীকার করে এ বিষয়ে কী পরিবর্তন আনা যায় সেটা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আলোচনা এখনও চলমান আছে। সেখান থেকে একটা টেকনিক্যাল নোট এসেছে, আমরা সেটা নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের যাতে অহেতুক হয়রানি করা না হয়, সে বিষয়ে একটা পদ্ধতি গ্রহণ করা (উদ্যোগ নেওয়া) হয়েছে। সুধীজনদের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে। এ বিষয়ে ৩০ মার্চ আবারও বসার কথা ছিল, তবে তা স্থগিত করা হয়। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় বসা হবে। সুধীজনরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ডাটা প্রটেকশন আইন এবং এনজিও ভলেন্টারি নিয়েও একটা আইনের কথা বলেছেন। এসব নিয়েও আলোচনা হবে।

একটা শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে এ ধরনের একটা ফটো কার্ড তৈরি করে দেশের মর্যাদা হেয়প্রতিপন্ন করা যায় কি না সেই প্রশ্নও তোলেন মন্ত্রী।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন