• বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন

ক্ষমতা ভোগের বিষয় নয়, দেশ ও মানুষের কাজ করার সুযোগ: প্রধানমন্ত্রী

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৯০
রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতা ভোগের বিষয় নয়, দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ। দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবার সহযোগিতা চাই। এ সময় রপ্তানিতে সুনির্দিষ্ট পণ্যের ওপর নির্ভরশীল না থেকে পণ্য বহুমুখীকরণে কাজ করা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রোববার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারপ্রধান বলেন, পরপর চারবার আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেছে জনগণ। উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণের এই সময়ে পরিকল্পনা গ্রহণ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

তিনি বলেন, সরকারের গৃহিত পদক্ষেপে স্থানীয় বাজার তৈরি হয়েছে। গার্মেন্টস শিল্পে দেয়া সুযোগ অন্য শিল্পের জন্য সম্প্রসারিত করা হবে।

এ সময় আমদানি-রপ্তানিতে ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রপ্তানী যে হারে হয় সে হারে রিটার্ন আসে না, এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি জিনিষের দাম বিশ্বব্যাপী বেড়েছে। সবার ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। এই বাস্তবতায় নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে। নতুন পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণে লক্ষ্য রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের যদি প্রসার না ঘটে, কোনো দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছিলাম, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট একোয়া আমরা উৎক্ষেপণ করেছি। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা। আমরা প্রমাণ করেছি, বাংলাদেশের জনগণকে কেউ চ্যালেঞ্জ দিয়ে দাবায় রাখতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, ৯৬ সাল থেকে যখন সরকার গঠন করেছি সেখান থেকে একটা প্রচেষ্টা,আর্থসামাজিকভাবে বাংলাদেশকে উন্নত করা। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। বাংলাদেশের মানুষ যেন বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে, সে পদক্ষেপ নেওয়া।

জানা গেছে, উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলা। এবারের মেলায় প্রতিবেশী ভারত ছাড়াও সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। পাশাপাশি গতবারের মতো এবারও মেলায় যাতায়াতের সুবিধায় শাটল বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন