• শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:৪৬ অপরাহ্ন

আদেশের ৫ দিনেও বদলি হননি সাংবাদিক হেনস্তাকারী সেই এসিল্যান্ড

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৭৯
বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

সাংবাদিকদের নিজ অফিসে আটক রেখে হেনস্তাকারী লালমনিরহাট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ-আল-নোমান সরকারের বদলির আদেশ এখনো কাযর্কর করা হয়নি। তার বদলির আদেশে বলা হয়েছে ‘অবিলম্বে এই আদেশ কাযর্কর করা হবে’ কিন্তু এখনো তা কাযর্কর না হওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রকাশ করছেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিক সমাজ।এর আগে গত ১৪ মার্চ রাতে তার বদলির আদেশ দেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার। তাকে লালমনিরহাট সদর উপজেলা থেকে বদলি করা হয় ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায়। কিন্তু তিনি বদলির আদেশ পেয়েও মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) পযর্ন্ত লালমনিরহাট সদর উপজেলায় কর্মরত আছেন।এদিকে গত সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট প্রেসক্লাবে জরুরি সভার আয়োজন করে সাংবাদিকরা তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছেন।সাংবাদিকরা জানান, এসিল্যান্ডের বদলির আদেশকে কেন্দ্র করে কিছুসংখ্যক তরুণ এসিল্যান্ডের পক্ষ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাংবাদিক সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব তরুণ বিএনপি, জামায়াত ও আহলে হাদিস সমর্থিত পরিবারের সদস্য। তারা এসিল্যান্ডের বদলি বাতিলের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা প্রেসক্লাবে জরুরি সভা করেছি। সাংবাদিকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। এসিল্যান্ডের বদলি দ্রুত কাযর্কর ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি।লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, এসিল্যান্ডের বদলির আদেশ দ্রুত কাযর্কর করা হবে। লালমনিরহাট সদর উপজেলায় যোগদান করতে বলা হয়েছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার এসিল্যান্ডকে। লালমনিরহাটে তার যোগদানে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার এসিল্যান্ডের বদলির আদেশ কাযর্কর করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে এ আদেশ বহাল থাকবে।প্রসঙ্গত, গত ১৪ মার্চ দুপুরে অফিসে জমির খারিজ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য যাওয়া ৫ সাংবাদিককে নিজ অফিসে আটকে রেখে হেনস্তা করেন এসিল্যান্ড আব্দুল্লা-আল-নোমান সরকার। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাংবাদিকদের জেলে পাঠানোর প্রস্তুতিও নেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টি এম এ মমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অফিসের তালা খুলে সাংবাদিকদের মুক্ত করেন। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই এসিল্যান্ড অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে সাংবাদিক সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এরপর সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই ক্ষুব্ধ এসিল্যান্ড তার অফিস চত্বরে অবস্থান করা চ্যানেল আইয়ের ক্যামেরা পারসনের মোটরসাইকেলের কাগজপত্র সঙ্গে না থাকায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন