• রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪২ অপরাহ্ন

প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৩ জনের যাবজ্জীবন

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৮৪
রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার মামলায় প্রেমিকসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। এ মামলায় ৬ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। তবে রায় ঘোষণার সময়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক ছিলেন।

রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত এ রায় ঘোষণা করা হয়। এ সময় আদালত আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান।

 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বন্দর উপজেলার বিবিজোড়া পূর্বপাড়া এলাকার ওমর খাঁর ছেলে মো. ফারুক (৩৫), একই উপজেলার হরিবাড়ী এলাকার মৃত আব্দুল মমিনের ছেলে মো. মুন্না ওরফে টুকুন (৩৫) ও ত্রিবেনী এলাকার মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. আমজাদ হোসেন (৪৩)।

 

 

মামলার ঘটনা সূত্রে আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগী তরুণী একজন হোসিয়ারি শ্রমিক ছিলেন। ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল বন্দর নবীগঞ্জ বোনের বাসায় যাওয়ার কথা বলে নিখোঁজ হয়। ভুক্তভোগী হোসিয়ারিতে কাজ করার সুবাধে ফারুকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে ফারুকের সঙ্গে দেখা করতে গেলে ভুক্তভোগীকে ঘুরতে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ফারুক তার সহযোগী আমজাদ হোসেন ও মুন্নাকে নিয়ে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

 

পরে বন্দর ত্রিবেনী স্বপন মিয়ার ডোবায় খড় দিয়ে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা। পরে ওই বছরের ২৭ এপ্রিল একটি ডোবা থেকে ভুক্তভোগীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল ভুক্তভোগীর বাবা আলম সওদাগর বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ছয়জনের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তিনজনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

 


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন