• রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৩ অপরাহ্ন

নওগাঁর আওয়ামী লীগ সভাপতি’র বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য ও ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রির অভিযোগ

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৮৮
বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

  মাহমুদুন্নবী
নওগাঁ প্রতিনিধি

মাহমুদুন্নবী, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল খালেক চৌধুরী’র বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য ও ওয়াক্ফ সম্পত্তি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের কোতালি এলাকার মো: সামছুল হক এর নিকট থেকে তার বড় ভাই শাহজাহান আলী কে নজিপুর সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিবে বলে ৬ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। অপরদিকে উপজেলার নাদৌর গ্রামের মো: আব্দুর রশিদ, নূরল ইসলাম ও আব্দুল মতিন কে মিথ্যা ও ভূল বুঝিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তি নিজের বলে বিক্রি করেন। সেই সম্পত্তি পরবর্তী তে তারই (আব্দুল খালেক চৌধুরী) ছোট ভাই উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য মো: আবু তাহের চৌধুরী ( ভিপি মন্টু ) দখলে নেয়।

নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়ে মো: সামছুল হক বলেন, আমার বড় মো: শাহজাহান আলী কে নজিপুর সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিবে বলে ৬ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা গ্রহণ করেন পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরী। টাকা নেবার পরেও আমার ভাই কে সেখানে তিনি নিয়োগ দেয়নি। পরবর্তী তে টাকা ফেরত চাইলে দিচ্ছি দিবো বলে সময় কাঁটান যা কিছুদিন পূর্বে তিনি অস্বিকার করে বলেন, আমি কোন টাকা নেয়নি। তিনি একজন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তার কাছেই যদি আমরা নিরাপদ না থাকি, তাহলে কার কাছে যাবো আমরা।

ওয়াকফ সম্পত্তির বিষয়ে মো: আব্দুর রশিদ বলেন, ১৯৮০ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরী’র কাছে থেকে ১ একর ২৩ শতাংশ জমি ক্রয় করি। তারপর থেকেই সেই জমি আমাদের দখলে থাকে। হঠাৎ আমরা জানতে পারি তিনি যে জমি আমাদের দলিল করে দিয়েছে তা ছিলো ওয়াক্ফ সম্পত্তি। পরবর্তী তে আমরা বার বার তার কাছে যাই কিন্তু কোন লাভ হয়নি। আজ থেকে প্রায় ২ বছর আগে সেই পূর্বে থালেক চৌধুরী’র ভাই আবু তাহের চৌধুরী ( ভিপি মন্টু ) সেই জমি দখলে নেয়। আজ আমরা নিরুপায়। কোথাও গিয়ে বিচার পাইনা। তিনি ( খালেক চৌধুরী ) সব সময় দলীয় আওয়ামীলীগের ক্ষমতার অপব্যবহার করেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরী নিয়োগ বানিজ্যের কথা অস্বিকার করলেও ওয়াকফ সম্পত্তির বিষয়ে বলেন, সেই সময় জমি দলিল করে দেওয়া যেতো। যার কারণেই আমি দলিল করে দিয়েছি।

 


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন