সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় ভাঙ্গবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফজলার রহমান রুমীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। এতে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জেলারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার প্রভাবশালী আরিফুর গণি লিমনসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। রোববার (২১ এপ্লিল) সকাল ১১টায় বেলকুচি উপজেলার তামাই বাজার এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তামাই গ্রামের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও সমাজসেবক ফজলার রহমানের ওপর হামলা চালায় লিমন সরকার, জুয়েল সরকার, লিটন সরকার ও এশাদুল সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলেও এখনো আসামিদের আটক করা হয়নি। অতি দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধনে আরও জানা যায়, সমবায় সমিতির নামে লিজকৃত একটি পুকুরের সুফলভোগী সদস্যদের সঙ্গে প্রভাবশালী আরিফুর গণি লিমন গংদের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। বিভিন্ন সময় প্রায় ২০০ ডিসিমেল জায়গাজুড়ে ওই পুকুরটি নিজেদের বলে দাবি করে লিমনের পরিবার। মাছ চাষের জন্য গত শনিবার (২০ এপ্লিল) পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার করতে যায় পুকুরের সুফলভোগী সদস্যরা। এ সময় আরিফুর গণি লিমনসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি এসে বাধা দেন।
এ সময় ভাঙ্গবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফজলার রহমান রুমী এগিয়ে গিলে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। এতে তিনি মারাত্মাকভাবে আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় বেলকুচি থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জনকে আসামি করে আহত ছোট ভাই হাজী হিরুন একটি মামলা দায়ের করা করেন।
এ ছাড়াও ইতোপূর্বে সমিতির নামে এই পুকুরটি লিমনের পরিবারের সদস্যরা জোর করে দখলের চেষ্টা করে। সেই সময় স্থানীয়রা তাদের সঙ্গে এক হয়ে মাছচাষ করার জন্য অনুরোধ জানালেও তাতেও তারা রাজি হয়নি। তারা তিন লাখ টাকা অবৈধভাবে দাবি করে। পরবর্তীতে ওই পুকুরে রাতের আঁধারে বিষ প্রয়োগ করে চল্লিশ লক্ষ টাকার মাছ নিধন করে।
এ বিষয়ে আরিফুর গণি লিমন বলেন, এদের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত আমাদের বিরোধ চলে আসছিল। তারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আমি কোর্টে জামিনের জন্য এসেছি।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এখনো আসামিদের আটক করা হয়নি। অতি দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- ৩নং ভাঙ্গবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূইয়া, তামাই হান্ডলুম ও পাওয়ালুম সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাতেন শেখ, ইউপি সদস্য আব্দুর গফুর, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাজী এটিএম গোলাম, তামাই বহুমুখী স্কুলের অভিভাবক সদস্য শাহিন আলমসহ অন্যন্য ব্যক্তিবর্গ।