সাতক্ষীরার কলারোয়ায় নির্বাচনী সহিংসতার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, উপজেলার বয়ারডাঙ্গা গ্রামের সাঈদ হোসেন, সুলতানপুর গ্রামের আরিফুল ইসলাম, বাঁধন হোসেন ও আকাশ হোসেন।
এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত নজরুল ইসলামকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে জানান, আমিনুল ইসলাম লাল্টুর ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক নজরুল ইসলাম সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে বসে ছিলেন। এ সময় এসএম আলতাপ হোসেন লাল্টুর আনারস প্রতীকের সমর্থক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন যুবক পুলিশের কাছে তাদের বিরুদ্ধে নালিশের অভিযোগ এনে নজরুল ইসলামের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। এতে নজরুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে আরিফুল ইসলামসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
অপরদিকে, বয়ারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক কেন্দ্রে দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগে পুলিশ সাঈদ হোসেন নামের একজনকে আটক করে।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৪০টি কেন্দ্রে ও কলারোয় উপজেলায় ৭৮টি কেন্দ্রে তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও কলারোয়া উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামস ইশতিয়াক শোভন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোহিনুর ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। কলারোয় উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি কেন্দ্রে একজন এসআইয়ের নেতৃত্বে ২ জন পুলিশ সদস্য ও দুজন সশস্ত্রসহ ১৫ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়া সাতক্ষীরা সদরে ১৫ জন ও কলারোয়া উপজেলায় ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি ২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও ২ প্লাটুন র্যাব সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন।