• শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন

লাশ হলেন জেমি বিয়ের এক বছরেই

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৯৬
বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

নওগাঁর ধামইরহাটে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার (১২ জুন) মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহত গৃহবধূর নাম জিহান আক্তার জেমি। তিনি ধামইরহাট উপজেলার ফার্শপাড়া গ্রামের ফেরদৌস হোসেনের মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম মোরসালিন। পত্নীতলা উপজেলার লালাপুর গ্রামের আবু কালাম আজাদের ছেলে তিনি।

গৃহবধূর ফুফাতো ভাই জিল্লুর রহমান জানান, ২০২৩ সালের জুন মাসে মোরসালিনের সঙ্গে বিয়ে হয় জেমির। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। মঙ্গলবার সকালে জেমির বাবার বাড়িতে যাওয়া নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর দুপুরের দিকে মোরসালিনের মোবাইল থেকে অপরিচিত এক ব্যক্তি জেমির বাবাকে ফোন দিয়ে জানান তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। সংবাদ পাওয়ার পর জেমির শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখা যায় জেমির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন এবং গলায় রশির দাগ। পরিবারের সদস্যরা জেমিকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলেন চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে জেমির স্বামী মোরসালিনের ব্যহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। এমনকি তার বাড়িতেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোজাফফর হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকেলে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা ফেরদৌস হোসেন চারজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি দায়েরর পর থেকে জেমির শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা সবাই পলাতক। তবে পুলিশ চেষ্টা করছে আসামিদের আটক করার জন্য।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন