• বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন

১ মাস পূর্ণ আজ ’আনার হত্যার’ রহস্য কতোটুকু এগোলো?

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৬২
বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪
আনোয়ারুল আজীম আনার। ছবি : সংগৃহীত
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যার এক মাস পূর্ণ হল আজ। কিন্তু এখনো পর্যন্ত রহস্যের জট খুলতে পারেনি দু’দেশের গোয়েন্দারা। ঘটনার অগ্রগতি থাকলেও অনেক ক্লু এখনো অজানা। এরই মধ্যে ১১ জুন রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করে ডিবি।

জেলার ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু আছেন রিমান্ডে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল থেকে পাঁচ সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তারপরও এমপি আনারের মৃতদেহ উদ্ধার নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। উদ্ধার হওয়া খণ্ডিত অংশ আনারের কি না তাও জানে না কেউ। মাহমুদ সোহেলের রিপোর্টে বিস্তারিত।

আনার হত্যার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয় বাংলাদেশ ও ভারতে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরও আনারের মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। এমনকি উদ্ধার হওয়া খণ্ডিত অংশ আনারের কি না তাও কেউ নিশ্চিত না। এমন এক পরিস্থিতিতে আজ পার হচ্ছে আনার হত্যার এক মাস। ঘটনার পর বদলি হয়েছে আনারের নিজ জেলার সন্তান তদন্ত গোয়েন্দা কর্মকর্তা। নানা তৎপরতার পরও হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি গোয়েন্দারা। ক্ষণে ক্ষণে বদলেছে হত্যাকাণ্ডের মোড়।

স্থানীয় রাজনীতির দ্বন্দ্বে আনারকে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে মাঠে নেমেছেন গোয়েন্দারা। এজন্য ঝিনাইদহের আরও কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা গোয়েন্দাদের নজরদারিতে আছেন।

এদিকে, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর ১০ দিন রিমান্ড চেয়েছে ডিবি। সেই সাথে আটক আরেক নেতা গ্যাস বাবু এখনো ডিবির রিমান্ডে। এদেরকে আটকের পর গ্রেফতার আতঙ্গে ভুগছেন স্থানীয় নেতারা। আত্মগোপনে চলে গেছেন জেলা ও উপজেলার ডজনখানেক নেতা। ৮ নেতা প্রশাসনের নজরদারিতে রয়েছেন। যেকোনো মুহূর্তে তারা গ্রেপ্তার হতে পারেন।

আনারের পরিবারের পক্ষ থেকে তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন। তারপর থেকে ওই নেতাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা আরও বেড়েছে।

আনারের ভাই এনামুল হক ইমান অভিযোগ করেছেন, এ হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক বিরোধী প্রতিপক্ষরাই জড়িত। ২০১৭ সালেও আনারকে হত্যার চেষ্টা হয়। গত নির্বাচনে আনারের বিরুদ্ধে মনোনয়ন চেয়েছিল মিন্টু। কিন্তু নিজে মনোনয়ন না পেয়ে আনারের বিরুদ্ধে আবদুর রশীদ খোকনকে সমর্থন জানান তিনি। তখন কালীগঞ্জের এক জনসভায় হাজার হাজার মানুষের সামনে মিন্টু বলেছিল এ দেশের মাটিতে জায়গা হবে না আনারের। মাহমুদ সোহেল.


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন