• মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৩১ অপরাহ্ন

বেনজীরের পাসপোর্ট জালিয়াতি, বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৭৬
মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পাসপোর্ট জালিয়াতির বিষয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন অফিসে যান পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ৭ সদস্য।

সাবেক এই আইজিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পাসপোর্টে আড়াল করেছেন তার পুলিশ পরিচয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে নীল রঙের অফিশিয়াল পাসপোর্ট করেননি। সুযোগ থাকার পরও নেননি লাল পাসপোর্ট। এমনকি বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও আশ্রয় নিয়েছেন নজিরবিহীন জালিয়াতির।

কিন্তু নবায়নের সময় ধরা পড়লে নবায়ন কার্যক্রম আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। সে সময় তিনি র‌্যাবের মহাপরিচালক থাকায় চিঠি দেওয়া হয় র‌্যাব সদর দপ্তরে। তবে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ম্যানেজ করেন সব। পাসপোর্ট অফিসে না গিয়েই নেন বিশেষ সুবিধা।

এদিকে, গত ২৮ মে বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো নোটিশে বেনজীর আহমেদকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের ৯ জুন দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে। ৫ জুন দুদকের কাছে সময় চান বেনজীর আহমেদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ২৩ জুন হাজির হতে ফের চিঠি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তার স্ত্রী-সন্তানদের ২৪ জুন হাজির হতে বলা হয়। বেনজীর দুদকে হাজির না হয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের লিখিত জবাব দিয়েছেন।

রাজধানী ঢাকাসহ অন্তত ১০ জেলায় সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। অন্য ৯টি জেলা হলো গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, সাতক্ষীরা, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, বান্দরবান ও কক্সবাজার। এসব জেলায় রয়েছে জমি, খামার, রিসোর্ট। সেন্টমার্টিন দ্বীপেও আছে জমি। সবশেষ তথ্যানুযায়ী, বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন জেলায় থাকা জমির পরিমাণ ২ হাজার ৩৮৫ বিঘা বা ৭৮৬ একর।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত ২৩ ও ২৬ মে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের নামে থাকা ১৯৩টি দলিলের জমি, গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ক্রোকের এবং বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ৩৩টি হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ১৯টি প্রতিষ্ঠানে তাদের নামে থাকা শেয়ার, তিনটি বিও হিসাব এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ করারও আদেশ দিয়েছেন আদালত।

প্রসঙ্গত, বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন