• মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:২৮ অপরাহ্ন

টানা বর্ষণে নাইক্ষ্যংছড়িতে পানিবন্দি দুই শতাধিক পরিবার

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৬৫
বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট, ২০২৪
টানা ভারি বর্ষণে পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে নাইক্ষ্যছড়ি এলাকা। ছবি : প্রতিদিন খবর
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

টানা চার দিনের ভারি বর্ষণে পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যছড়ি খালের বেইলি ব্রিজটি। এতে যানচলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী, দোছড়ি ইউনিয়নসহ রামু উপজেলার গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের প্রায় দুই লাখ মানুষ।

অপর দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু খালের পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে ১০ বছরের ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ইমরান নামের এক শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

পাহাড়ধসে প্রাণ হানির ঘটনা না ঘটলেও শতাধিক কাঁচা বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। তার মধ্যে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২ শতাধিক পরিবার। স্থান ভেদে দেখা মিলেছে পাহাড়ধস।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়- নাইক্ষছড়ির ঘুমধুম ইউপির ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিমকূল, ক্যাম্প পাড়া, ঘোনারপাড়া, হিন্দুপাড়া, বাজারপাড়া, ২নং ওয়ার্ডের কোনারপাড়া ও মধ্যমপাড়াসহ ৫ গ্রামে সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও প্রয়োজনীয় খাবারের। এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সড়কে পাহাড়ধসে বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ে ও রাস্তার ওপর ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়ায় যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদুল হক বলেন, রাস্তা প্রশস্ত করতে পাহাড় থেকে মাটি নেওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে। রাস্তার দুই পাশে যদি টেকসই গাইডওয়াল দেওয়া হয় পরবর্তীতে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারে আতঙ্কিত পরিবারগুলো।

টানা বর্ষণে নাইক্ষ্যংছড়িতে পানিবন্দি দুই শতাধিক পরিবার

এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে জাহাঙ্গীর আজিজ  প্রতিদিন খবর কে জানান, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া, রাস্তা ও দোকান প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি অনেক স্থানে পাহাড়ধসে পড়ায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. শাহে নেওয়াজ বলেন, টানা বর্ষণে গত ২৯ জুলাই ঢলের পানিতে এক শিশু ভেসে গিয়ে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তাছাড়া পানি কমলেও বাড়ির উঠোনে এখনো পানি রয়েছে।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমদ  প্রতিদিন খবর কে জানান, এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে ব্রিজটি পূর্ণ সংস্কারের আবেদন করা হয়েছে। আর পাহাড়ে বসবাসরত সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। পাহাড় ধস ও পানিবন্দি স্থানগুলো পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের আপাতত শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, পরবর্তীতে সহায়তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

অপর দিকে রামু উপজেলার গর্জনিয়ার মাঝিরকাটা, বড় বিল, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের হাজিরপাড়া, ফাক্রিরকাটা ও চাকমারকাটা বড় জাংছড়িসহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।

এ বিষয়ে রামু উপজেলার চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো  প্রতিদিন খবর কে জানান, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের এলাকার খোঁজখবর রাখতে বলা হয়েছে। আর উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া  প্রতিদিন খবর কে বলেন, পানিবন্দি মানুষের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। জনসাধারণকে সতর্ক করার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়েছে। পানি কমলে ব্রীজ সচল করা হবে। তাছাড়া নিখোঁজ শিশুটির উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন