জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্যসহ সব প্রশাসনিক পদে নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘মানি না মানব না, অতিথি পাখি মানব না,’ ‘জবি থেকে ভিসি চাই, দিতে হবে, দিতে হবে’, ‘ভাড়াটে ভিসি আর নয়, জবি থেকে ভিসি চাই’- স্লোগান দেন।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, সব শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হতে হবে। অতিথি পাখির মতো বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে, আবার চলে যায়। অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন উপাচার্য এলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে পরিচিত হতে তার দুই বছর পার হয়ে যায়। কোনো অতিথি পাখি ভিসি আসলে, ক্যাম্পাস বুঝতে তার বছরখানিক লেগে যায়। সেই ভিসি এক বছর দুই বছর কাটিযে দিবে, এই দুই বছর কি আমরা ঘাস খাব? যেসব শিক্ষক বিপ্লবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন, সেসব শিক্ষকই আমাদের অভিভাবক হতে পারবে।
নতুন ক্যাম্পাসের দুর্নীতির বিষয়ে নূর নবী বলেন, নতুন ক্যাম্পাসের ১ হাজার ৮শ কোটি টাকা বরাদ্দের হিসাব আমাদের কাছে দিতে হবে। জবির সাবেক ভিসি নতুন ক্যাম্পাসে ৫০০ কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন, সেই টাকার হিসাব তাকে দিতে হবে। আমরা এখন জেগে উঠেছি। কোনো দুর্নীতিবাজের ঠিকানা জগন্নাথে হবে না। কিছু বামপন্থি সংগঠনের চিহ্নিত নেতাকর্মী আন্দোলনে বিভাজনের চেষ্টা করছে অভিযোগ করে নূর নবী বলেন, কিছু সক্রিয় বামপন্থি সংগঠনের নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করার জন্য বিবৃতি দিচ্ছে। তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদত্যাগ করা পিএইচডি আপা খ্যাত ড. সাদেকা হালিমাকে ভিসি হিসেবে রাখতে চাচ্ছে। তারা লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি চালু করতে চাচ্ছে। আমরা তাদের সে দুরভিসন্ধি বাস্তবায়ন হতে দেব না।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৫-২০২৪ সাল পযন্ত দীর্ঘ ২০ বছরে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বের হয়েছে। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো দীর্ঘদিন কর্মরত কোনো শিক্ষককে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেনি। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই জগন্নাথ শিক্ষকদের মধ্যে থেকে ভিসি চাই। যদি এই জগন্নাথের শিক্ষকদের মধ্যে থেকে ভিসি নিয়োগ না হয়, আমরা আবার বুকের তাজা রক্ত দিয়ে মাঠে নামব।