• বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন

গরিব-দুঃখীর ওপর কিসের আইন : মঈন খান

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৩১
সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে শীতলক্ষ্যার তীরে পাকা ভবন, দোকান ঘরসহ তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ঘোড়াশাল বাজার থেকে সাদ্দাম মার্কেট পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বিরূপ মন্তব্য করে বলেছেন, গরিব-দুখীর ওপর কিসের আইন?

রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল সাদ্দাম বাজারে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

আব্দুল মঈন খান বলেন, সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা পতিত সরকারের প্রেতাত্মারা ঘোড়াশাল-পলাশের দরিদ্র মানুষের ওপর জুলুম-অত্যাচার করেছে। দুর্নীতিবাজ বিআইডব্লিউটিএ গত ১৫ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার বালু লুটপাট ও দুর্নীতি করেছে। তারা আজ ঘোড়াশাল-পলাশে এসে আইন দেখাতে চায়। কিসের আইন? দরিদ্র মানুষকে শোষণ করা কি কোন দেশের আইন হতে পারে? তারা নিরীহ মানুষদের কাছ থেকে ঘুষ না পেয়ে অন্যায়ভাবে তাদের উচ্ছেদ করেছে। এ ধরনের কার্যক্রম বর্তমান সরকারকে বিপাকে ফেলবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, পলাশে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়সহ দেশের বিভিন্ন নদীতে চার দিনব্যাপী এই অভিযান চলবে। শীতলক্ষ্যার পাড়ে অবৈধ স্থাপনার ফলে প্রায় ১০ একর জমি ভরাট হয়ে গেছে, যা পুনরুদ্ধারে দিনব্যাপী অভিযান চালানো হয়।

প্রথম দিনে ঘোড়াশাল বাজার থেকে চরঘোড়াশাল শ্মশানঘাট পর্যন্ত দশ একর এলাকাজুড়ে নদী পাড়ে গড়ে ওঠা তিন শতাধিক পাকা ঘর, টিনশেড দোকান, বাজারসহ সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান শেষে বেড়া নির্মাণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য গাছ লাগানো হবে বলে জানান এই পরিচালক।

সাত দিন আগে এসব স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হলেও সরিয়ে না নেওয়ায় এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। নদীর পাড়ের জায়গা রক্ষায় উচ্ছেদ অভিযান নিয়মিত চলবে বলে জানায় বিআইডব্লিউটিএ।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন