• বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:১১ অপরাহ্ন

ইতিহাসের সাক্ষী ৬শ’ বছরের প্রাচীন ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ী শাহী মসজিদ

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ২১
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

মেহেদী হাসান, রানীশনকৈল, ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে ঐতিহাসিক ৬০০ বছরের পুরনো ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ী জামে মসজিদ। মসজিদটি উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার মধ্যে অন্যতম। এই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটি উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ী গ্রামে অবস্থিত।

ঘনবসতিপূর্ণ মনোরম পরিবেশে দাঁড়িয়ে থাকা ১৪২৫ সালে নির্মিত এই মসজিদটি এখনো কালের সাক্ষী হয়ে আছে। মাত্র ২২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৯ ফুট প্রস্থের এ মসজিদের মিনারসহ উচ্চতা প্রায় ৩০ ফুট। এক সময় ধর্ম প্রচারের জন্য এখানে আসেন বুড়া পীর নামে একজন বুজুর্গ ,তার স্ত্রী সন্তান কেউ ছিলেন না এখানে,একাই ঐ এলাকার কয়েকজন মুসল্লি নিয়ে নির্মিত করেন এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি । মসজিদটির ভিতরে রয়েছে বাহারি ডিজাইনের নকশা একেকটি পাথরে খোদাই করা রয়েছে আরবি বর্ণমালা। কালের বিবর্তনে এখন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় মসজিদটির সাথে নতুন একটি অবকাঠামো সংযোজন করা হয়েছে। আগে ছোট্ট ঐ মসজিদের ভিতরে মাত্র ৩০-৪০ জন্য মানুষ নামাজ আদায় করতে পারতো এখন নতুন ঘর নির্মাণ করার ফলে অনেক মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করতে পারেন। স্থানীয়রা জানান, মসজিদটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হলে শুধু ধর্মীয় উপাসনালয় নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টিকে থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগই পারে এই শতাব্দী প্রাচীন স্থাপনাটিকে রক্ষা করতে।

মসজিদটি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ইয়াসিন আলী জানান, তার পূর্বপুরুষরাই এটি নির্মাণ করেন। সে আমলে জনবসতী কম থাকায় ছোট পরিসরে নির্মিত হয় মসজিদটি। মাত্র ৩০থেকে ৪০ জন মুসল্লি দুই কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতেন। এখন চারপাশে গড়ে উঠেছে জনবসতি। কিন্তু মসজিদটি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে এখনো টিকে আছে। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকার ফলে এটি প্রায় ধ্বংসের মুখে পড়েছিল। ২০১০ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে মসজিদটির সংস্কার করা হয়।

স্থানীয় মুনসুর আলী জানান কালের বিবর্তনে মসজিদের ব্যবহারেও পরিবর্তন এসেছে। আমি শুনেছি, অতীতে একসময় এখানে ৪০ জন মানুষ নামাজ আদায় করতে পারতো কিন্তু এখন আমরা এলাকার লোকজন মিলে নতুন একটি ভবন তৈরি করেছি এবং নিয়মিত নামাজ আদায় করছি ।
এ বিষয়ে স্থানীয় রশিদ নামের একজন ব্যক্তি জানান এই মসজিদটির ইতিহাস আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শুনে এসেছি এখানে একজন পীর এসেছিলেন তিনিই এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলো এবং তার মৃত্যুর পর মসজিদের পাশে তাকে কবর দেওয়া হয়েছে । তবে কেউ বলছে ৬ শত বছরের পুরনো আবার কেউ বলছে ৭ শত বছরের পুরনো,তবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ থেকে কয়েকজন এসেছিলেন এখানে তারা ল্যাব টেস্ট করে বলেছেন এটি ৬০০ বছরের অধিক পুরনো ঐতিহ্যবাহী মসজিদ ।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন