• মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন

নাজিরপুরে নৌকা ডুবিয়ে চেয়ারম্যান হওয়ায় ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি— চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুল

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৫০
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

নাজিরপুর পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রান্ত মিস্তীর পাঠানো তথ্য ও চিত্রে বিস্তারিত ;

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ৩ নম্বর দেউলবাড়ি দোবড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২০২২ সালের ১৫ জুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জনগণের বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন রফিকুল ইসলাম বাবুল। তবে নির্বাচনের পর থেকেই পরাজিত প্রার্থীর অনুসারীরা তাঁর বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

বুধবার (২৬ মার্চ) ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুল বলেন, গত ১৮ মার্চ পরিষদে মৎস্যজীবীদের চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে পরাজিত নৌকা প্রার্থীর সহযোগীরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে ২০ মার্চ (শুক্রবার) আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, মানববন্ধনে নৌকা মার্কার পরাজিত প্রার্থীর পক্ষের সমর্থক এবং ইউনিয়ন বিএনপির নেতা সেলিম রেজা আমার বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখল, ৪০ দিনের কর্মসূচির টাকা আত্মসাৎ,একটি আয়রন ব্রিজের মালামাল আত্মসাৎ,ঝন্টুর বাজারের একটি সরকারি ঘাটলা আত্মসাৎ অভিযোগ তুলে ষড়যন্ত্র মূলক বক্তব্য দেন।
তবে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং তাঁর সম্মানহানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুল।

এসময় তিনি বলেন, আমি নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছি। এ কারণে আওয়ামী লীগ থেকে আমাকে ১১ বছর আগে বহিষ্কার করা হয়েছে। ফলে দলীয় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

হিন্দুদের জমি দখলের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই অভিযোগ শুধু মিথ্যা নয়, হাস্যকরও বটে। কারণ, গত বছরের ২৫ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আমি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করেছি এবং ৪০ দিনের কর্মসূচির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই প্রকল্পের কাজ শুরুর আগে এবং পরে জিপিএস লোকেশনসহ ছবি পিআইও অফিসে জমা দেওয়া হয়। কাজ পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট অফিসই অর্থ ছাড় করে। ফলে এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। এসময় আইরন ব্রিজের মালামাল আত্মসাৎ সম্পর্কে তিনি জানান, গাওখালী বাজার সংলগ্ন ব্রিজের মালামাল উপজেলা এলজিইডি অফিসের তালিকাভুক্ত ও তাদের মাধ্যমে আমার হেফাজতে রয়েছে।

ঝন্টুর বাজারের ঘাটলা আত্মসাতের অভিযোগকেও মিথ্যা দাবি করে তিনি বলেন, এই ঘাটলা নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত এক লাখ টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়াই এখনো সম্পন্ন হয়নি। ফলে আত্মসাতের প্রশ্নই আসে না।

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুল অভিযোগ করেন, পরাজিত শক্তির দোসররা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে। তিনি এসব ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।

 


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন