ঢাকা ০৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সৌদি আরবে ডিজেল ট্যাংকার-বাস সংঘর্ষে ৪২ ওমরাহযাত্রী নি*হত: Logo গাজীপুরে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে বর্তমানে চলছে যানবাহন Logo জননিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে নরসিংদী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চেকপোস্ট বৃদ্ধি ও টহল কার্যক্রম জোরদার: অপরাধ দমনে বদ্ধপরিকর জেলা পুলিশ Logo বংশালে জুতার কারখানায় আগুন, দগ্ধ ৪ Logo টঙ্গীতে গ্রেনেড বিস্ফোরণ, ওসি বলছেন ‘পটকা Logo গাজীপুর টঙ্গীতে পেট্রোলবোমাসহ দুইজন আটক Logo নরসিংদীতে জেলা পুলিশের অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ জন গ্রেফতার! Logo গাজীপুরে চলন্ত অবস্থায় একটি যাত্রীবাহী বাসে হঠাৎ আগুন Logo খেলার মাঠের অভাবে মোবাইল আসক্তি বাড়ছে তরুণদের বেলাবো রহিমের কান্দি গ্রামের Logo নারীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়নের চিন্তা করা ভুল

ইতিহাস গড়লো এয়ারবাস এ৩২০

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে
ইউরোপীয় বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শ করেছে। তাদের জনপ্রিয় এ৩২০ সিরিজ এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া জেট এয়ারক্রাফট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল বোয়িং ৭৩৭-এর দখলে, যা দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিক বিমান পরিবহনের প্রতীক ছিল।

বিমান বিশ্লেষক সংস্থা সিরিয়াম জানায়, ৬ অক্টোবর রাতে সৌদি আরবের ফ্লাইনাস-এর কাছে একটি নতুন এ৩২০ সরবরাহের পর, এয়ারবাসের মোট ডেলিভারি সংখ্যা দাঁড়ায় ১২,২৬০টি। এর মাধ্যমে তারা বোয়িং ৭৩৭-এর দীর্ঘদিনের রেকর্ড অতিক্রম করে। উল্লেখযোগ্য যে, এ৩২০ সিরিজ প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরু করেছিল ১৯৮৮ সালে।

রয়টার্স জানায়, এ বিষয়ে এয়ারবাস তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য না করলেও বিশ্লেষক রব মরিস তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

এয়ারবাস ও বোয়িং মিলে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজারের বেশি সরু-দেহ জেট সরবরাহ করেছে। এগুলো মূলত বড় আন্তর্জাতিক রুটের জন্য তৈরি হলেও, পরে লো-কস্ট এয়ারলাইন্সগুলোর মাঝেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ৯/১১-পরবর্তী চাহিদা কমে যাওয়ায় বোয়িং উৎপাদন হ্রাস করলেও, সেই সুযোগে এয়ারবাস বাজার দখলে এগিয়ে যায়।

আরও পড়ুন  রাশিয়া-ইউক্রেনের বাফার জোনে সেনা পাঠাবে বাংলাদেশ ও সৌদি?

বর্তমানে এয়ারবাসই বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান নির্মাতা। এ৩২০ সিরিজের এই নতুন রেকর্ড চার দশকের ট্রান্স আটলান্টিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার এক ঐতিহাসিক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এ৩২০ সিরিজ চালু হয় ১৯৮৪ সালে, যখন এয়ারবাসের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় ছিল। ফ্রান্সের টুলুজে তৈরি এই মডেলে প্রথমবারের মতো ‘ফ্লাই-বাই-ওয়্যার’ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। যদিও শুরুতে এটি কিছু বিতর্কের জন্ম দেয়, পরে তা আধুনিক বিমানের মানদণ্ডে পরিণত হয়।

অন্যদিকে, বোয়িং ৭৩৭ প্রথম আসে ১৯৬০-এর দশকে, এবং দীর্ঘদিন ধরে এটি ছিল সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সরু-দেহ বিমান। কিন্তু ২০১৮ ও ২০১৯ সালে দুটি মারাত্মক দুর্ঘটনা কোম্পানিটিকে সঙ্কটে ফেলে দেয়।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দশকে এয়ারবাস ও বোয়িং উভয়ই নতুন মডেল আনতে পারে। তবে ইঞ্জিন প্রযুক্তিতে বড় ধরনের অগ্রগতি না হলে, তারা আপাতত বিদ্যমান ডিজাইন নিয়েই চলবে। সম্প্রতি প্রাগে অনুষ্ঠিত আইএসটিএটি সম্মেলনে উভয় কোম্পানি এই অবস্থান তুলে ধরেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সৌদি আরবে ডিজেল ট্যাংকার-বাস সংঘর্ষে ৪২ ওমরাহযাত্রী নি*হত:

ইতিহাস গড়লো এয়ারবাস এ৩২০

আপডেট সময় : ০২:০৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
ইউরোপীয় বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শ করেছে। তাদের জনপ্রিয় এ৩২০ সিরিজ এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া জেট এয়ারক্রাফট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল বোয়িং ৭৩৭-এর দখলে, যা দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিক বিমান পরিবহনের প্রতীক ছিল।

বিমান বিশ্লেষক সংস্থা সিরিয়াম জানায়, ৬ অক্টোবর রাতে সৌদি আরবের ফ্লাইনাস-এর কাছে একটি নতুন এ৩২০ সরবরাহের পর, এয়ারবাসের মোট ডেলিভারি সংখ্যা দাঁড়ায় ১২,২৬০টি। এর মাধ্যমে তারা বোয়িং ৭৩৭-এর দীর্ঘদিনের রেকর্ড অতিক্রম করে। উল্লেখযোগ্য যে, এ৩২০ সিরিজ প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরু করেছিল ১৯৮৮ সালে।

রয়টার্স জানায়, এ বিষয়ে এয়ারবাস তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য না করলেও বিশ্লেষক রব মরিস তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

এয়ারবাস ও বোয়িং মিলে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজারের বেশি সরু-দেহ জেট সরবরাহ করেছে। এগুলো মূলত বড় আন্তর্জাতিক রুটের জন্য তৈরি হলেও, পরে লো-কস্ট এয়ারলাইন্সগুলোর মাঝেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ৯/১১-পরবর্তী চাহিদা কমে যাওয়ায় বোয়িং উৎপাদন হ্রাস করলেও, সেই সুযোগে এয়ারবাস বাজার দখলে এগিয়ে যায়।

আরও পড়ুন  মারা গেছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন

বর্তমানে এয়ারবাসই বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান নির্মাতা। এ৩২০ সিরিজের এই নতুন রেকর্ড চার দশকের ট্রান্স আটলান্টিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার এক ঐতিহাসিক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এ৩২০ সিরিজ চালু হয় ১৯৮৪ সালে, যখন এয়ারবাসের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় ছিল। ফ্রান্সের টুলুজে তৈরি এই মডেলে প্রথমবারের মতো ‘ফ্লাই-বাই-ওয়্যার’ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। যদিও শুরুতে এটি কিছু বিতর্কের জন্ম দেয়, পরে তা আধুনিক বিমানের মানদণ্ডে পরিণত হয়।

অন্যদিকে, বোয়িং ৭৩৭ প্রথম আসে ১৯৬০-এর দশকে, এবং দীর্ঘদিন ধরে এটি ছিল সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সরু-দেহ বিমান। কিন্তু ২০১৮ ও ২০১৯ সালে দুটি মারাত্মক দুর্ঘটনা কোম্পানিটিকে সঙ্কটে ফেলে দেয়।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দশকে এয়ারবাস ও বোয়িং উভয়ই নতুন মডেল আনতে পারে। তবে ইঞ্জিন প্রযুক্তিতে বড় ধরনের অগ্রগতি না হলে, তারা আপাতত বিদ্যমান ডিজাইন নিয়েই চলবে। সম্প্রতি প্রাগে অনুষ্ঠিত আইএসটিএটি সম্মেলনে উভয় কোম্পানি এই অবস্থান তুলে ধরেছে।