ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জামায়াত এখন জিয়াউর রহমানের বিএনপির মতোই জনপ্রিয়: তাহের Logo বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে সেনা ঘাঁটি ও সেনা স্টেশন করলো ভারত Logo “বিপাশার রাজনীতিতে নতুন খেলা ইলিয়াস মোল্লার তাল ফেলে সেলিম ভূঁইয়ার বিটে নাচ” Logo মিত্রদের ৪০ আসনে ছাড় দিতে পারে বিএনপি, চলছে দরকষাকষি Logo আরপিও সংশোধন পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে: ইসি সচিব Logo গলাচিপায় ‘ভিপি নুর নাকি হাসান মামুন’ বিতর্কে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ১৫ Logo নিষিদ্ধ আ.লীগ ৪ পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে: গোলাম মাওলা রনি Logo বিপাশার রাজনীতিতে নতুন খেলা Logo নতুন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই ব্যবসা চলবে না : ডাকসু ভিপি Logo বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ চারটি পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে: রনি

ভাই হত্যা মামলার প্রধান আসামি আপন চাচা মামুন গ্রেফতার

(প্রতিবেদক জেলা প্রতিনিধি)
হত্যা ঘটনার প্রায় দুই মাস পর পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে মনোহরদী থেকে গ্রেফতার
নরসিংদী প্রতিনিধি: ৫ নভেম্বর, বুধবার
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বৈলাবো গ্রামে গত ১০ সেপ্টেম্বর টিউবওয়েলের পানির প্রবাহকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি, নিহতদের আপন চাচা মামুন মিয়াকে (৫০) অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস ধরে পলাতক থাকার পর আজ ভোরে এক যৌথ অভিযানে তাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড ও মামলা
গত ১০/০৯/২০২৫ তারিখ ভোর আনুমানিক ৫:৩০ মিনিটে বৈলাবো গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে আপন চাচা-ভাতিজার মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, সেই সময় প্রধান আসামি মামুন পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আপন দুই ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এই নৃশংস ঘটনার প্রেক্ষিতে শিবপুর মডেল থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-১৮(০৯)২৫) রুজু করা হয়।
যৌথ অভিযানে গ্রেফতার
পুলিশ সুপার, নরসিংদীর কঠোর নির্দেশনায় এই মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতারে জোরদার অভিযান চলছিল।
* গ্রেফতার: আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর, সকাল ০৪:৫০ ঘটিকায় শিবপুর মডেল থানা পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে প্রধান আসামি মামুন (৫০)-কে পার্শ্ববর্তী মনোহরদী থানার পাঁচকান্দী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
* আসামির পরিচয়: মামুন, পিতা- মৃত আব্দুল লতিফ, সাং-বৈলাবো, থানা-শিবপুর, জেলা-নরসিংদী।
পূর্বে আটক ও উদ্ধার
প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টা আগেই পুলিশ ঘটনায় অন্যতম আসামি, মামুনের ছেলে দিদার (৫০) এবং মুক্তার হোসেন (৬০)-কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছিল। পাশাপাশি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া, মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে ইতোমধ্যে তিনজন বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
মামুনকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হলো। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং দ্রুতই আদালতে প্রেরণ করা হবে।

আরও পড়ুন  বিএনপি'র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
ট্যাগস :

জামায়াত এখন জিয়াউর রহমানের বিএনপির মতোই জনপ্রিয়: তাহের

ভাই হত্যা মামলার প্রধান আসামি আপন চাচা মামুন গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৯:৪৩:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

(প্রতিবেদক জেলা প্রতিনিধি)
হত্যা ঘটনার প্রায় দুই মাস পর পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে মনোহরদী থেকে গ্রেফতার
নরসিংদী প্রতিনিধি: ৫ নভেম্বর, বুধবার
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বৈলাবো গ্রামে গত ১০ সেপ্টেম্বর টিউবওয়েলের পানির প্রবাহকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি, নিহতদের আপন চাচা মামুন মিয়াকে (৫০) অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস ধরে পলাতক থাকার পর আজ ভোরে এক যৌথ অভিযানে তাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড ও মামলা
গত ১০/০৯/২০২৫ তারিখ ভোর আনুমানিক ৫:৩০ মিনিটে বৈলাবো গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে আপন চাচা-ভাতিজার মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, সেই সময় প্রধান আসামি মামুন পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আপন দুই ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এই নৃশংস ঘটনার প্রেক্ষিতে শিবপুর মডেল থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-১৮(০৯)২৫) রুজু করা হয়।
যৌথ অভিযানে গ্রেফতার
পুলিশ সুপার, নরসিংদীর কঠোর নির্দেশনায় এই মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতারে জোরদার অভিযান চলছিল।
* গ্রেফতার: আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর, সকাল ০৪:৫০ ঘটিকায় শিবপুর মডেল থানা পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে প্রধান আসামি মামুন (৫০)-কে পার্শ্ববর্তী মনোহরদী থানার পাঁচকান্দী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
* আসামির পরিচয়: মামুন, পিতা- মৃত আব্দুল লতিফ, সাং-বৈলাবো, থানা-শিবপুর, জেলা-নরসিংদী।
পূর্বে আটক ও উদ্ধার
প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টা আগেই পুলিশ ঘটনায় অন্যতম আসামি, মামুনের ছেলে দিদার (৫০) এবং মুক্তার হোসেন (৬০)-কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছিল। পাশাপাশি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া, মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে ইতোমধ্যে তিনজন বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
মামুনকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হলো। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং দ্রুতই আদালতে প্রেরণ করা হবে।

আরও পড়ুন  বেলাবোতে পুলিশের হতাশাজনক আত্মহত্যা; পরিবারে শোক, তদন্ত চলছে