ঢাকা ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জামায়াত এখন জিয়াউর রহমানের বিএনপির মতোই জনপ্রিয়: তাহের Logo বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে সেনা ঘাঁটি ও সেনা স্টেশন করলো ভারত Logo “বিপাশার রাজনীতিতে নতুন খেলা ইলিয়াস মোল্লার তাল ফেলে সেলিম ভূঁইয়ার বিটে নাচ” Logo মিত্রদের ৪০ আসনে ছাড় দিতে পারে বিএনপি, চলছে দরকষাকষি Logo আরপিও সংশোধন পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে: ইসি সচিব Logo গলাচিপায় ‘ভিপি নুর নাকি হাসান মামুন’ বিতর্কে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ১৫ Logo নিষিদ্ধ আ.লীগ ৪ পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে: গোলাম মাওলা রনি Logo বিপাশার রাজনীতিতে নতুন খেলা Logo নতুন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই ব্যবসা চলবে না : ডাকসু ভিপি Logo বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ চারটি পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে: রনি

কর্নেল রাজিবকে শেখ হাসিনা ‘এবার আর কোনো কথা নাই, শুরুতেই দিবা’

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একের পর এক ফোনালাপ প্রকাশ্যে আসছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয় তৎকালীন উপ-সামরিক সচিব (ডিএসপিএম) কর্নেল রাজিবের সঙ্গে শেখ হাসিনার একটি কথোপকথনের অডিও, যেখানে ছাত্র-জনতার ওপর সরাসরি গুলি চালানোর নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। তাদের সেই কথোপকথনটি শোনানো হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

ট্রাইব্যুনাল-১–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে মামলার দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

ফোনালাপে কী ছিল?

ফোনালাপটির প্রথমে কল ধরতেই স্যার সম্বোধন করে সালাম দেওয়া হয়। ঠিক তখনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‌‌‌‌‌‌’ওরা কিন্তু জায়গায় জায়গায় এখন জমায়েত হতে শুরু করেছে। মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং বিভিন্ন জায়গায়৷ শুরুতেই কিন্তু ইয়ে… করতে হবে, একদম শুরুতেই। ধাওয়া দিলে এরা গলিতে গলিতে থাকবে। এবার আর কোনো কথা নাই। এবার শুরুতেই দিবা।’

প্রসিকিউশনের দাবি অনুযায়ী, এই কথোপকথনটি গত বছরের ২৯ জুলাই রেকর্ড করা হয়, যেখানে অপর প্রান্তে ছিলেন তৎকালীন ডেপুটি মিলিটারি সেক্রেটারি কর্নেল রাজিব। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন না।

আরও পড়ুন  ঢাকার আদালতে ১৩৫ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন, ‌‌‌‌‌‌’এই নির্দেশনার মাধ্যমে স্পষ্ট যে, সরকারপ্রধান ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে গুলি চালানোর অনুমতি দিয়েছিলেন। এটি মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ।’

যুক্তিতর্কের শুরুতেই ডেইলি স্টার–এর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়, যাতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পটভূমি, সরকারি প্রতিক্রিয়া এবং আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অবস্থানের পতনের চিত্র তুলে ধরা হয়।

এতে শেখ হাসিনার ভূমিকাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনালে নানা তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। অডিও উপস্থাপনের পাশাপাশি গুম-খুন, ধরপাকড় এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগও তোলা হয় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্কে।

এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও একজন সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র ও নাগরিক আন্দোলন দমনকল্পে যেভাবে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, তা মানবতাবিরোধী অপরাধের সংজ্ঞার আওতায় পড়ে। মামলার যুক্তিতর্ক আগামীকালও চলবে বলে ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে তাপস-ইনুর সাথেও হাসিনার কল রেকর্ড ফাঁস হয়।

ট্যাগস :

জামায়াত এখন জিয়াউর রহমানের বিএনপির মতোই জনপ্রিয়: তাহের

কর্নেল রাজিবকে শেখ হাসিনা ‘এবার আর কোনো কথা নাই, শুরুতেই দিবা’

আপডেট সময় : ০১:৪৯:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একের পর এক ফোনালাপ প্রকাশ্যে আসছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয় তৎকালীন উপ-সামরিক সচিব (ডিএসপিএম) কর্নেল রাজিবের সঙ্গে শেখ হাসিনার একটি কথোপকথনের অডিও, যেখানে ছাত্র-জনতার ওপর সরাসরি গুলি চালানোর নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। তাদের সেই কথোপকথনটি শোনানো হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

ট্রাইব্যুনাল-১–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে মামলার দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

ফোনালাপে কী ছিল?

ফোনালাপটির প্রথমে কল ধরতেই স্যার সম্বোধন করে সালাম দেওয়া হয়। ঠিক তখনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‌‌‌‌‌‌’ওরা কিন্তু জায়গায় জায়গায় এখন জমায়েত হতে শুরু করেছে। মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং বিভিন্ন জায়গায়৷ শুরুতেই কিন্তু ইয়ে… করতে হবে, একদম শুরুতেই। ধাওয়া দিলে এরা গলিতে গলিতে থাকবে। এবার আর কোনো কথা নাই। এবার শুরুতেই দিবা।’

প্রসিকিউশনের দাবি অনুযায়ী, এই কথোপকথনটি গত বছরের ২৯ জুলাই রেকর্ড করা হয়, যেখানে অপর প্রান্তে ছিলেন তৎকালীন ডেপুটি মিলিটারি সেক্রেটারি কর্নেল রাজিব। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন না।

আরও পড়ুন  তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের নবম দিনের শুনানি চলছে

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন, ‌‌‌‌‌‌’এই নির্দেশনার মাধ্যমে স্পষ্ট যে, সরকারপ্রধান ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে গুলি চালানোর অনুমতি দিয়েছিলেন। এটি মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ।’

যুক্তিতর্কের শুরুতেই ডেইলি স্টার–এর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়, যাতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পটভূমি, সরকারি প্রতিক্রিয়া এবং আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অবস্থানের পতনের চিত্র তুলে ধরা হয়।

এতে শেখ হাসিনার ভূমিকাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনালে নানা তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। অডিও উপস্থাপনের পাশাপাশি গুম-খুন, ধরপাকড় এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগও তোলা হয় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্কে।

এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও একজন সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র ও নাগরিক আন্দোলন দমনকল্পে যেভাবে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, তা মানবতাবিরোধী অপরাধের সংজ্ঞার আওতায় পড়ে। মামলার যুক্তিতর্ক আগামীকালও চলবে বলে ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে তাপস-ইনুর সাথেও হাসিনার কল রেকর্ড ফাঁস হয়।