
বৈধ অভিবাসন চুক্তিতে গতি বাড়াচ্ছে গ্রিস: ফিলিপাইন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক
প্রতিবেদক: গ্রিস প্রবাসী মো. লিটন মিয়া, বেলাব, নরসিংদী
এথেন্স, ৮ অক্টোবর, ২০২৫:
গ্রিসের শ্রমবাজারে তীব্র কর্মী সংকট মেটাতে এবং বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়া জোরদার করার লক্ষ্যে ফের উদ্যোগী হয়েছেন গ্রিক অভিবাসন ও আশ্রয় বিষয়ক মন্ত্রী থানোস প্লেভরিস।
আজ এথেন্সে তিনি ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত জিওভানি ই. প্যালেক-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বৈধ শ্রম অভিবাসন সংক্রান্ত একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি দ্রুত চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
চুক্তির গুরুত্ব ও ফিলিপিনো কর্মীদের প্রশংসা
বৈঠকে মন্ত্রী প্লেভরিস এই চুক্তিকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি ফিলিপাইন থেকে আগত কর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “ফিলিপিনো অর্থনৈতিক অভিবাসীরা পরিশ্রমী, নির্ভরযোগ্য এবং তারা গ্রিক সমাজ ও শ্রমবাজারে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম।”
উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উৎকৃষ্ট পর্যায় নিশ্চিত করে সব স্তরে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন।
কেন এই চুক্তি?
গ্রিস বর্তমানে কৃষি, পর্যটন ও অন্যান্য শিল্প খাতে তীব্র কর্মী সংকটের সম্মুখীন। এই ঘাটতি পূরণের জন্য একটি সুসংগঠিত আইনি কাঠামো তৈরি করাই গ্রিক সরকারের মূল লক্ষ্য। এই বৈধ প্রক্রিয়া নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে মানবপাচার এবং অনিয়মিত অভিবাসনের ঝুঁকিও কমানো সম্ভব হবে বলে সরকার আশা করছে।
মন্ত্রী প্লেভরিসের কার্যালয় থেকে জানা যায়, ফিলিপাইন ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি মিশর ও ভারতসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সরবরাহকারী দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈধ শ্রম চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এটি স্পষ্ট করে যে গ্রিস বহুমাত্রিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তার শ্রম চাহিদা মেটাতে চাইছে।
অগ্রগামী বাংলাদেশ: ইউরোপের প্রথম সমঝোতা
গ্রিসের এই ধারাবাহিক বৈধকরণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। গ্রিসের সঙ্গে ইউরোপের মধ্যে প্রথম সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরকারী দেশ হলো বাংলাদেশ।
বর্তমানে ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি দ্রুত কার্যকর করার মাধ্যমে গ্রিস তার অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে চাইছে, যেখানে বৈধ পথে আসা কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।


























