ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সৌদি আরবে ডিজেল ট্যাংকার-বাস সংঘর্ষে ৪২ ওমরাহযাত্রী নি*হত: Logo গাজীপুরে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে বর্তমানে চলছে যানবাহন Logo জননিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে নরসিংদী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চেকপোস্ট বৃদ্ধি ও টহল কার্যক্রম জোরদার: অপরাধ দমনে বদ্ধপরিকর জেলা পুলিশ Logo বংশালে জুতার কারখানায় আগুন, দগ্ধ ৪ Logo টঙ্গীতে গ্রেনেড বিস্ফোরণ, ওসি বলছেন ‘পটকা Logo গাজীপুর টঙ্গীতে পেট্রোলবোমাসহ দুইজন আটক Logo নরসিংদীতে জেলা পুলিশের অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ জন গ্রেফতার! Logo গাজীপুরে চলন্ত অবস্থায় একটি যাত্রীবাহী বাসে হঠাৎ আগুন Logo খেলার মাঠের অভাবে মোবাইল আসক্তি বাড়ছে তরুণদের বেলাবো রহিমের কান্দি গ্রামের Logo নারীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়নের চিন্তা করা ভুল

কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব’ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন সারজিস আলম

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০৭:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ঘটনায় ‘কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব’ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। গত এক মাসে একাধিকবার তার বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন তিনি।

রোববার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন।

পোস্টে সারজিস বলেন, বিগত এক মাসে পঞ্চগড়ের এনসিপি ৩টি প্রোগ্রাম আয়োজন করেছে। প্রতিটি প্রোগ্রামে যখন আমি বক্তব্য দেওয়া শুরু করি, তার এক-দুই মিনিট পরে বিদ্যুৎ চলে যায়।

প্রথমবার যখন হয়েছিল কিছু বলিনি। মনে হয়েছিল এটা হতেই পারে। দ্বিতীয়বার যখন একই ঘটনা ঘটে তখনও কিছু বলিনি কিন্তু তাদের ইনটেনশন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। গতকাল আবার একই ঘটনা। প্রোগ্রামের আগে-পরে নয়, অন্য কারো বক্তব্যের সময় নয়। ঠিক আমি যখন কথা বলা শুরু করি তখন আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। কথা বলা শেষ হলে বিদ্যুৎ চলে আসে। সকল মিডিয়া এটার সাক্ষী।

তিনটি প্রোগ্রাম তিন দিন ভিন্ন সময় হয়েছে। তারপরও যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটে তখন আমি অবশ্যই মনে করি এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সেক্টরের কিছু কর্মকর্তা এই ধরনের ছোটলোকি কিংবা অন্য দলের দালালি মূলক আচরণ করে থাকে। একজনকে ডিস্টার্ব করতে পারলে তাদের রাজনৈতিক সফলতা মনে করে।

প্রত্যেকবারই প্রোগ্রামের আগে তাদেরকে প্রোগ্রাম সম্পর্কে বলে রাখা হয়। প্রোগ্রামের পরেও ভদ্র ভাষায় বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরও যখন একই চিত্র দেখা যায় তখন তাদের সাথে সুশীলতা প্রদর্শন করা প্রয়োজন মনে করিনা। তবে ক্ষোভ ঝাড়তে গিয়ে যে উপমা ব্যবহার করেছি সেটা করা উচিত হয়নি বলে মনে করি।

আরও পড়ুন  জামায়াত আমির, আমরা তেলা মাথায় তেল দেব না

চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সিন্ডিকেট, দুর্নীতি ও মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে এনসিপির পক্ষ থেকে লং মার্চে ১০ ঘন্টা ধরে প্রায় দুই হাজার মানুষ মোটরসাইকেলে করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে পুরো পঞ্চগড় জেলার ১৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছি। আশা করি মিডিয়ার ফোকাস সেদিকেও থাকবে।

গতকাল শনিবার সারজিস আলমের নেতৃত্বে পঞ্চগড় শহর থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত লং মার্চ হয়। সেই লং মার্চের সমাপ্তি বক্তব্য দেন রাত সাড়ে ৯টার দিকে। পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্কসংলগ্ন জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে এই আয়োজনে সারজিস আলম বক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

ওই বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এর আগেও পঞ্চগড়ে এনসিপির প্রোগ্রাম চলাকালে বিদ্যুৎ গেছে। নেসকোর যে মালিক তাকে এবং তার বাপকে জবাব দিতে হবে, প্রোগ্রাম চলাকালে, এটা হয় কেন? এক দিন হইতো, দুই দিন হইতো কিচ্ছু বলতাম না, তিন দিনের তিন দিনই এটা হইছে। যারা এটা করছে, তারা হচ্ছে রাজনৈতিক ***। এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেব তাদের কলিজা কত বড় হইছে। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সৌদি আরবে ডিজেল ট্যাংকার-বাস সংঘর্ষে ৪২ ওমরাহযাত্রী নি*হত:

কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব’ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন সারজিস আলম

আপডেট সময় : ০১:০৭:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ঘটনায় ‘কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব’ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। গত এক মাসে একাধিকবার তার বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন তিনি।

রোববার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন।

পোস্টে সারজিস বলেন, বিগত এক মাসে পঞ্চগড়ের এনসিপি ৩টি প্রোগ্রাম আয়োজন করেছে। প্রতিটি প্রোগ্রামে যখন আমি বক্তব্য দেওয়া শুরু করি, তার এক-দুই মিনিট পরে বিদ্যুৎ চলে যায়।

প্রথমবার যখন হয়েছিল কিছু বলিনি। মনে হয়েছিল এটা হতেই পারে। দ্বিতীয়বার যখন একই ঘটনা ঘটে তখনও কিছু বলিনি কিন্তু তাদের ইনটেনশন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। গতকাল আবার একই ঘটনা। প্রোগ্রামের আগে-পরে নয়, অন্য কারো বক্তব্যের সময় নয়। ঠিক আমি যখন কথা বলা শুরু করি তখন আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। কথা বলা শেষ হলে বিদ্যুৎ চলে আসে। সকল মিডিয়া এটার সাক্ষী।

তিনটি প্রোগ্রাম তিন দিন ভিন্ন সময় হয়েছে। তারপরও যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটে তখন আমি অবশ্যই মনে করি এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সেক্টরের কিছু কর্মকর্তা এই ধরনের ছোটলোকি কিংবা অন্য দলের দালালি মূলক আচরণ করে থাকে। একজনকে ডিস্টার্ব করতে পারলে তাদের রাজনৈতিক সফলতা মনে করে।

প্রত্যেকবারই প্রোগ্রামের আগে তাদেরকে প্রোগ্রাম সম্পর্কে বলে রাখা হয়। প্রোগ্রামের পরেও ভদ্র ভাষায় বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরও যখন একই চিত্র দেখা যায় তখন তাদের সাথে সুশীলতা প্রদর্শন করা প্রয়োজন মনে করিনা। তবে ক্ষোভ ঝাড়তে গিয়ে যে উপমা ব্যবহার করেছি সেটা করা উচিত হয়নি বলে মনে করি।

আরও পড়ুন  বিএনপির দুর্গে ভাগ বসাতে চায় অন্যরা

চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সিন্ডিকেট, দুর্নীতি ও মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে এনসিপির পক্ষ থেকে লং মার্চে ১০ ঘন্টা ধরে প্রায় দুই হাজার মানুষ মোটরসাইকেলে করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে পুরো পঞ্চগড় জেলার ১৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছি। আশা করি মিডিয়ার ফোকাস সেদিকেও থাকবে।

গতকাল শনিবার সারজিস আলমের নেতৃত্বে পঞ্চগড় শহর থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত লং মার্চ হয়। সেই লং মার্চের সমাপ্তি বক্তব্য দেন রাত সাড়ে ৯টার দিকে। পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্কসংলগ্ন জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে এই আয়োজনে সারজিস আলম বক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

ওই বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এর আগেও পঞ্চগড়ে এনসিপির প্রোগ্রাম চলাকালে বিদ্যুৎ গেছে। নেসকোর যে মালিক তাকে এবং তার বাপকে জবাব দিতে হবে, প্রোগ্রাম চলাকালে, এটা হয় কেন? এক দিন হইতো, দুই দিন হইতো কিচ্ছু বলতাম না, তিন দিনের তিন দিনই এটা হইছে। যারা এটা করছে, তারা হচ্ছে রাজনৈতিক ***। এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেব তাদের কলিজা কত বড় হইছে। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব।’